চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, সরকার একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে জাতির পিতার লালিত স্বপ্ন পূরণের করে সবার মুখে হাসি ফোটাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। করোনা ভাইরাস মানুষকে একটি শিক্ষা দিয়ে গেছে যে, অর্থ-সম্পদ টাকা পয়সা শেষ পর্যন্ত কোন কাজে লাগে না। মরলে তো সবাই চলে যেতে হয়।
কাজেই সম্পদের পিছে ছুটে নিজেকে মানুষের কাছে অসম্মানের জায়গায় রাখার কোন মানে হয় না। বরং দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে একজন মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর চেয়ে বড় কিছু হতে পারে না। তাই সমাজের প্রতি প্রকৌশলীদের দায়িত্ব নিতে হবে।
তিনি চট্টগ্রাম নগরীর সৌন্দর্য বর্ধনে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
বুধবার নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি একথা বলেন।
প্রকৌশলী মো. হারুনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ সালাম।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. রফিকুল আলম, প্রকৌশলী এনামুল বাকী, ড. রশিদ আহম্মদ চৌধুরী, প্রকৌশলী এম এ রশিদ, প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, প্রকৌশলী খোরশেদ উদ্দিন আহমেদ বাদল, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাদেক মোহাম্মদ চৌধুরী, প্রকৌশলী মো. শাহজাহান, ইফতেখার আহমদ, প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, প্রকৌশলী মঈন উদ্দিন জুয়েল, সাইফ উদ্দিন মোহাম্মদ ফোরকান চৌধুরী, প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, সাঈদ ইকবাল পারভেজ, অসীম সেন, সৈকত কান্তি দে, প্রদীপ বড়–য়া, সাকিব আমান, কে এম রোকনুজ্জামান, আবুল হাসান প্রমুখ।
মেয়র আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম নগরীকে বিশ্বের একটি অনন্য নগরী হিসেবে গড়ে তোলার সার্বিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। এ প্রচেষ্টা বাস্তবায়নে প্রকৌশলীদের ভূমিকা হবে তাৎপর্যপূর্ণ। নগরীকে সৌন্দর্য মন্ডিত করা গেলে সারাদেশে এর প্রভাব পড়বে।
এমএ সালাম বলেন, চট্টগ্রামকে অর্থনৈতিক হাব হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যে উন্নয়ন প্রক্রিয়া চলছে তা বাস্তবায়নে প্রকৌশলী সমাজকে আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদকে চট্টগ্রামের উন্নয়নে কাজ করতে আহ্বান জানান। বিজ্ঞপ্তি