নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁশখালী »
বাঁশখালীতে শুক্রবার বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় ওই রাতেই পুলিশ বাদি হয়ে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের জ্ঞাত-অজ্ঞাত ১৩ শত নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করেছেন।
এতে বিস্ফোরক আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন এবং সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ঘটনার সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৬৩ রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়েছে। ৩টি মামলাতেই দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও বাঁশখালীর সাবেক সংসদ সদস্য সাবেক বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, তার ছেলে উপজেলা বিএনপির সদস্য মিসকাতুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পাসহ বিএনপি’র জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পুলিশ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন দক্ষিণ জেলা মহিলা দলের সভাপতি জান্নাতুল নাঈম চৌধুরী রিকু, বাঁশখালী পৌরসভা মহিলা দলের আহ্বায়ক সারাবান তাহুরা কলি, মো. পারভেজ, ইমরান, জোবায়ের, দেলোয়ার হোসেন, আব্দুর রহিম, মো. তারেক। মামলার পর থেকে বিএনপি’র অন্য নেতা-কর্মীরা পলাতক রয়েছেন। শনিবার এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছেন।
বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, পুলিশের ওপর হামলাকারী বিএনপি’র দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে রোববার আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ সমাবেশ করা হবে।
দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও বাঁশখালীর সাবেক সংসদ সদস্য সাবেক বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, পুলিশের সাথে বিএনপি’র কোন শত্রুতা নেই। একটি চক্র পুলিশের ওপর ঢিল ছুঁড়ে বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের ফাঁসিয়েছে। শুনেছি আমি ও আমার ছেলের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। অথচ ঘটনাস্থলে ছিলাম না।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, পুলিশের ওপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে পৃথক ৩টি মামলা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাঁশখালীর শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে কেউ অস্থিতিশীল পরিবেশ করে রক্ষা পাবে না। দুষ্কৃতিকারীদের ধরতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকালে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কর্মসূচির এক পর্যায়ে বিএনপি- পুলিশ সংঘর্ষ হয়। এতে এএসপি (সার্কেল), ওসি, তদন্ত ওসি, আরও ১১ পুলিশসহ ২৮ জন আহত হয়েছেন।