সার্কিট হাউজে নগর আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভা শেষে জানালেন হানিফ
নিজস্ব প্রতিবেদক»
‘আগামী সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের মধ্যে ওয়ার্ড ও ইউনিটগুলো সম্পূর্ণ করে নভেম্বরের মধ্যে থানা কমিটি শেষ করতে চাই। ডিসেম্বর বা তার পরবর্তী সময়ে সভানেত্রীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মহানগরের সম্মেলন শেষ করবো।’
নগরের সার্কিট হাউজে গতকাল রোববার নগর আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভা শেষে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানালেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।
হানিফ বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এ দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও বৃহৎ সংগঠন। এ দেশের সকল অর্জন এ সংগঠনের হাত ধরে এসেছে। স্বাধীনতা অর্জন, মুক্তিযুদ্ধ ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন সবই এ সংগঠনের অর্জন। এ সংগঠনের মূল শক্তি তৃণমূল নেতাকর্মী। এ সংগঠনকে আরো শক্তিশালী ও বেগবান করার জন্য ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রত্যেক জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড কমিটি ধাপে ধাপে সাজানোর কাউন্সিলের মাধ্যমে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেটির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম মহানগর থানা ওয়ার্ড এবং ইউনিট কমিটিকে ঢেলে সাজিয়ে ধাপে ধাপে আগাবো। আমাদের লক্ষ্য আগামী সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরের মধ্যে ওয়ার্ড ও ইউনিটগুলো সম্পূর্ণ করা। নভেম্বরের মধ্যে থানা কমিটি শেষ করতে চাই। ডিসেম্বর বা তার পরবর্তী সময়ে সভানেত্রীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মহানগরের সম্মেলন শেষ করবো।
মতবিনিয়ময় সভার বিষয়ে তিনি বলেন, ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ের নেতাদের সাথে আমরা মতবিনিময় সভা করেছি। তাদের কথা শুনছি। তাদের এলাকার সাংগঠনিক অবস্থা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছি। সাংগঠনিক দুর্বলতা আছে কি-না তা জানার চেষ্টা করছি। সমস্যা চিহ্নিত করতে পারলে তা সমাধান করে সংগঠনকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। সেই লক্ষ্যে সকলের সাথে আমরা কথা বলেছি। সকলের অভিমত আমরা নিয়েছি। সকলে তাদের এলাকার সাংগঠনিক অবস্থা সম্পর্কে আমাদের জানিয়েছে। তা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী একটি গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে, জুন থেকে আমাদের কার্যক্রম শুরু হবে।
নেতৃত্বের জট নিয়ে তিনি বলেন, যে কোন জিনিসের ধারাবাহিকতার ব্যর্থতা ঘটলে, এতে কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি হয়। সংগঠন ধারাবাহিতকভাবে চললে নতুন নেতৃত্ব সুযোগ পায়। নেতৃত্ব বিকাশের সুযোগ পায়। অনেকদিন ধরে সম্মেলন না হওয়ার কারণে সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলা পরিলক্ষিত হতে পারে।
হেফাজত আন্দোলনে বিভিন্ন এলাকার নেতৃবৃন্দের মাঠে থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস নিয়ে হেফাজতের যে তাণ্ডব তা মোটেও কাম্য ছিল না। তারা বিচ্ছিন্নভাবে এ তাণ্ডব করেছে। আর স্বাধীনতা দিবসে এমন কিছু করতে পারে বলে কারো ধারণা ছিল না এবং এ বিষয়ে নেতাকর্মীদের ধারণা ছিল না বা প্রস্তুতিও ছিল না। কিন্তু পরবর্তীতে সংগঠনের সকলে মাঠে ছিল। সারা দেশের সব জায়গায় ছিল। তবে সহিংসতা যারা করবে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আর এটা তাদের রাজনৈতিক কোন কর্মসূচি ছিল না। তাদের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা দমন করেছে।
চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ শক্তিশালী উল্লেখ করে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ খুবই শক্ত সংগঠন। কারণ এ অঞ্চলের অতীত দেখলে দেখা যাবে সকল আন্দোলনে চট্টগ্রামের নেতারা ছিলেন। মাস্টারদা সূর্য সেন, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ব্রিটিশ শাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন। এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে প্রয়াত মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে বিএনপি জামাতের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়েছে। এ থেকে সরকার পতন আন্দোলন শুরু হয়। যার কারণে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সবসময় শক্তিশালী। এ শক্তিকে মোকাবেলা করার মত শক্তি বাংলাদেশে অন্য কোন রাজনৈতিক সংগঠন রাখে না।