চট্টগ্রাম কলেজে সংঘর্ষ
নিজস্ব প্রতিবেদক »
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় নুর মোস্তফা টিনুকে প্রধান আসামি ও ১২ জনের নাম উল্লেখ আরো অজ্ঞাতনামা ১৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদুল হকের অনুসারী আবদুল্লা আল সাইমুন।
এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন, নুর মোস্তফা টিনু (৩৮),আমির উদ্দিন (৩২), জিয়া উদ্দিন আরমান (২৪), সৌরভ উদ্দিন বাপ্পা (২৪), সিরাজুল ইসলাম তোরাব (২২) মো. মহিউদ্দিন (১৯), মনির উদ্দিন (২৪), আবুল কালাম (২৪), আনছার উদ্দিন (২৩), মন্টি চৌধুরী (৩২), ইমন হোসেন (২৪), মো. আবদুল্লা (২৩)।গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে নগরীর চকবাজার থানায় এই মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মামলার প্রধান আসামি এলাকার সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও দখলদার নুর মোস্তফা টিনু প্রায় সময় তার সহযোগীদের নিয়ে চট্টগ্রাম কলেজ ও তার আশপাশ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে থাকে। গত বুধবার সকাল ১১টার দিকে আমি ও ডিগ্রি ৩য় বর্ষের আমার ছোট ভাই আব্দুল মালেক রুমি ,অনার্স ৪র্থ বর্ষের গণিত বিভাগের সাফায়েত হোসেন রাজু ও অনার্স ২য় বর্ষের গণিত বিভাগের আবু তোরাবসহ কলেজে কথা বলছিলাম। কথা শেষে চকবাজার থানাধীন কেয়ারী ইলিশিয়াম মার্কেটের সামনে রাস্তার উপর পৌঁছা মাত্রই উল্লিখিত আসামিরা অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তারা আমাদেরকে টিনুর দলে ভিড়তে আহ্বান করে এবং তাদের সাথে টিনুর বাসায় যেতে বলে। আমি এতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে ও আমার সঙ্গে থাকা দুই জনকে মেরে গুরুতর আহত করে। তারা আব্দুল মালেক রুমির পকেট থেকে ১১,৭৫০ টাকা ও আবু তোরাব থেকে ৯৫০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে উপস্থিত লোকজন আমাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
মামলার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম সুপ্রভাতকে বলেন, প্রশাসনের কাছে সুস্পষ্ট দাবি- কোন চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসীরা যাতে চট্টগ্রাম কলেজে প্রবেশ করতে না পারে। তারা নিজেদের ক্ষমতা জানান দেওয়ার জন্য বহিরাগত ভারাটে সন্ত্রাসী এনে কলেজ ক্যাম্পাসে নানা অপরাধ করে থাকে। এতে হেনস্তার শিকার হয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। যারা বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে কলেজের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তুলেছে, রক্তাক্ত করেছে, তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক।
মামলার প্রধান আসামি নুর মোস্তফা টিনু সুপ্রভাতকে বলেন,আমি এই সংঘর্ষের ব্যাপারে কিছুই জানি না। কোন কিছু না করেই মামলার আসামি হলাম। আমাকে আসামি করার একমাত্র কারণ হলো উপনির্র্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হচ্ছি। যারা নব্য রাজনীতি করছে জামায়াত-শিবিরের সাথে একত্র হয়ে তারাই মাহমুদুল করিমকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে এই মামলাটি করিয়েছে।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা মো. আলমগীর হোসেন বলেন, মামলা করার পর ইতিমধ্যে ২ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের ধরার ব্যাপারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।