চট্টগ্রাম বোর্ড পাশের সংখ্যা বাড়লেও কমেছে জিপিএ-৫

শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সরকারপ্রধানের হাতে এবারের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক »

চলতি বছরের ২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। ফলাফলে গতবছরের তুলনায় পাশের হার বাড়লেও কমেছে জিপিএ-৫ এর হার।

রোববার সকাল ১০টার পর গণভবনে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ ও পরিসংখ্যান তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান  চৌধুরী নওফেল। এরপর সকাল ১১টায় নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্টান ও ওয়েবসাইটে একযোগে ফলাফল প্রকাশিত হয়। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এ এম এম মুজিবুর রহমান এসব তথ্য জানান।

ফলাফলে চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ। যা গতবার ছিলো ৭৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৮২৩ জন পরীক্ষার্থী। ২০২৩ সালের পরীক্ষায় এই বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ১১ হাজার ৪৫০ জন। অর্থাৎ, গত বছরের তুলনায় পাসের হার বাড়লেও এবার এই বোর্ডে কমেছে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা।

জানা যায়, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চট্টগ্রাম ছাড়াও কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেয়। সব মিলিয়ে এ বোর্ডে এবার এক লাখ ৪৫ হাজার ৫৯০ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। আগেরবার পরীক্ষার্থী ছিল এক লাখ ৫৪ হাজার ৮১৯ জন। এদিকে কুমিল্লা  বোর্ডে এবার পাসের হার ৭৯ দশমিক ২৩, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১২ হাজার ১০০ শিক্ষার্থী। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৬৬, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৪ হাজার ২০৬ জন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ড পাসের হার ৮১ দশমিক ৩৮, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৮ জন।

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এ এম এম মুজিবুর রহমান বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছর পাশের হার বেড়েছে কিন্তু সে অনুযায়ে জিপিএ-৫ এর হার কমেছে। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।

চলতি বছর ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হয় ১২ মার্চ। এবার সারাদেশের ৩ হাজার ৭০০ কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫ টি শিক্ষাপ্রতিষ্টানে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। গতবছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ২০ লাখ ৪১ হাজার ৪৫০ জন।