সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :বয়স যখন ৩৫ পেরিয়ে যায়, অনেক ক্রিকেটারের ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। রিফ্লেক্স কমে যায় অনেকের, দমে ঘাটতি দেখা দেয়, শরীর বিদ্রোহ করে। তবে মাহমুদউল্লার দাবি, এই বয়সেই তিনি আছেন ক্যারিয়ারের সেরা ফিটনেসে।
মাহমুদউল্লাহকে দেখলে অবশ্য তার দাবি সত্যি বলেই মনে হয়। এক-দেড় বছর আগের চেয়ে তার ওজন এখন আরও কম। একদমই লিকলিকে শরীর। ফিটনেস নিয়ে তাকে কাজ করতেও দেখা যায়। তবে তার ফিটনেস নিয়ে প্রশ্নও ওঠে মাঝেমধ্যে।
চলতি শ্রীলঙ্কা সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৪০ রান ছোঁয়ার পর হুট করেই থমকে যায় তার রানের গতি। একসময় ৪৬ বলে তার রান ছিল ৪০, সেখান থেকে ফিফটি স্পর্শ করেন ৬৯ বলে। রানিং বিটুইন দা উইকেটে কিছুটা ধুঁকতে দেখা যায় সেসময়। এছাড়া পিঠের চোটও সাম্প্রতিক সময়ে তাকে ভুগিয়েছে বেশ।তবে শ্রীলঙ্কা সিরিজের শেষ ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ বললেন, ফিটনেস নিয়ে অনেক ঘাম ঝরিয়ে নিজেকে শাণিত রেখেছেন তিনি। খবর বিডিনিউজের। ’মনে হয়, ক্যারিয়ারের সেরা ফিটনেস লেভেলে আছি আমি। এটা নিয়ে গত দুই-তিন বছর ধরে কাজ করছি। ফিট থাকার চেষ্টা করছিৃরানিং হোক, জিম হোক, এক্সট্রা রানিং, এক্সট্রা জিম…ব্যালেন্সিং কাজ আমার অনেক বেশি করা লাগে, মেইনটেইন করা লাগে। এই জিনিসগুলো করার চেষ্ট করি। চেষ্টা করি যেন ফিটনেসটা ভালো থাকে।’ এই সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে তার ব্যাটে রান এসেছে। দলে তার গুরুত্ব আবার ফুটে উঠেছে। দুই ম্যাচেই মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে তার জুটিই বিপদ থেকে উদ্ধার করে দলকে। তবে দুই দিনই তিনি ফেরেন কাজ অসমাপ্ত রেখে, আউট হন ৫৪ ও ৪১ রানে। তিনি অবশ্য দলে অবদান রাখতে পেরেই খুশি। শেষ ম্যাচেও একইভাবে মেলে ধরতে চান নিজেকে।
’ধারাবাহিক থাকার চেষ্টা করছি। ভালো অনুভব করছি। যেটা আমি সব সময় অনুভব করি, সঠিক সময়ে দলের জন্য অবদান রাখা। যেহেতু আমি ছয় নম্বরে ব্যাটিং করছি, যদি ঠিক সময়ে সঠিকভাবে দলের জন্য অবদান রাখতে পারি, তাহলে আশা করি আমার জন্য যথেষ্ট এবং দলের জন্যও। কালকে আরেকটি সুযোগ, কালকেও ভালো করার চেষ্টা করব।’