নিজস্ব প্রতিনিধি, উখিয়া »
রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা উখিয়া টেকনাফ সড়কের বাঁকে বাঁকে হাজারেরও অধিক অপরিকল্পিত দোকান গড়ে তোলা হয়েছে। এসব বাঁকে যেকোন সময়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। যা নিয়ে প্রাণহানির আশংকা রয়েছে। এসব দোকানে মাদকদ্রব্য বেচাকেনা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, উখিয়া সদরের এক কিলোমিটার মহুরীপাড়া থেকে পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী পর্যন্ত প্রায় হাজারেরও অধিক অবৈধ দোকান গড়ে তোলা হয়েছে। সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা এসব দোকানের ছবি ধারণ করতে গেলে ১০/১২ জন রোহিঙ্গা তেড়ে আসে। তাদের দাবি ছবি তুলে পত্রিকান্তরে প্রকাশিত হলে প্রশাসন তাদের দোকানগুলো উচ্ছেদ করে দেবে।
স্থানীয় বাসিন্দা ইসহাক সওদাগর অভিযোগ করে জানান, অধিকাংশ দোকানের মালিক রোহিঙ্গা নাগরিক। যদিওবা জমি বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণে তথাপিও এখানে বনকর্মীদের হস্তক্ষেপ করার কোন সুযোগ নেই। যেহেতু বন বিট কর্মকর্তা আগে ভাগেই ম্যানেজ হয়ে গেছেন বলে আরো বেশ কয়েকজন সচেতন নাগরিক তাদের মতামত ব্যক্ত করে বলেন, উখিয়া বনবিভাগের দায়িত্বরত বনবিট কর্মকর্তার উৎকোচ বাণিজ্য অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। তাকে শায়েস্তা করা না হলে উখিয়ার বনাঞ্চল বেদখলে চলে যাবে।
সু-শাসনের জন্য নাগরিক সুজন উখিয়া শাখার সভাপতি নুর মোহাম্মদ সিকদার এ অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বনবিভাগ সংলগ্ন সড়ক দখল করে অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা দোকানগুলোতে রাতের বেলায় জমজমাট বেচা কেনা হয়।
কি ধরনের পণ্য লেনদেন হয় জানতে চাওয়া হলে ওই নেতা বলেন, নেশা জাতীয় দ্রব্য বিক্রির কারণে এখানে যুবক শ্রেণির আড্ডায় এলাকা সরগরম হয়ে উঠে। মাঝে মধ্যে নেশাখোরদের মধ্যে বিচ্ছিন্ন ঘটনাও ঘটে থাকে।
বালুখালী ক্যাম্পে মৌলভী আব্দুল গফুর নামের একজন সাবেক মেম্বার তার নিজের জোত জমির উপর দোকান ঘর নিমার্ণের ব্যাপারে অনুমতি চাইতে গেলে প্রশাসন সরাসরি তার আবেদন নাকচ করে দিয়ে বলেন, ক্যাম্পের ভিতরে কোন দোকানপাট বা ব্যবসা বাণিজ্য করা যাবে না।
উখিয়া বনরেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী মো. শফিউল আলম জানান, অল্প সংখ্যক লোকবল নিয়ে বিশাল জনগোষ্ঠীর দখলদারিত্ব ঠেকানো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে।
কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা জানান, সড়কের আশে পাশে যেসব দোকানপাট গড়ে তোলা হয়েছে তা অচিরেই উচ্ছেদ করা হবে।