নিজস্ব প্রতিনিধি, রাউজান »
রাউজানে ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। ক্রেতাদের কাছে বেশি দামে কাপড়, জুতা বিক্রয় করা হলেও বাজার মনিটারিংয়ের দায়িত্ব পালন করছে না বাজার সংশ্লিষ্টরাই। পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে উপজেলার ফকিরহাট বাজারের ডিউশপিং মার্কেট, তাহের প্লাজা, চৌধুরী মর্কেট, মামনি মার্কেট, সত্তার মার্কেট, মায়াপরী, মায়া শাড়িজ, আলো শাড়িজ, জলিলনগর বাস স্টেশনের হাজি আবছার মার্কেট, গহিরা চৌমুহনীর নাসির টাওয়ার, মসজিদ মার্কেট, নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের নতুন হাট, আমির হাট ও রমজান আলী হাট, কাগতিয়া বাজার, নোয়াপাড়া পথের হাট, পাহাড়তলী চৌমুহনী, গশ্চি নয়া হাট এলাকার মার্কেটসমূহে কাপড়, জুতা ইত্যাদি ক্রয় করার জন্য প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন।
মার্কেটগুলোতে কাপড় ও জুতার দোকানে মহিলা ক্রেতারা দল বেঁধে এসে পরিবারের সদস্যদের জন্য শাড়ি, প্যান্ট, জামা, সালোয়ার-কামিজ, থ্রিপিস ক্রয় করছেন। রাউজানের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, কাপড় ও জুতার দোকানগুলোতে বেশি দাম হাঁকা হচ্ছে। ডাবুয়া এলাকার জান্নাত নামের এক মহিলা জানান, ফকিরহাট বাজারের কাপড়ের দোকানে যে শাড়ির দাম ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা, ঐ শাড়ি এখানকার মালিক ও বিক্রয়কর্মীরা ১০ হাজার টাকা দাম চাচ্ছে। অনেক ক্রেতা ১ থেকে ২ হাজার টাকা মূল্যের শাড়ি ৭ থেকে ৮ হ্জাার টাকায় নিয়ে যাচ্ছেন।
রাউজান ফকিরবাজারের প্রগতি ফ্যাশনের মালিক, চট্টগ্রাম দোকান মালিক সমিতির রাউজান উপজেলা সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, কয়েকজন মহিলা ক্রেতা শাড়িসহ কাপড় পছন্দ করেন। তাদের পছন্দ করা কাপড় ৯ হাজার টাকা দাম দিলে তারা ৪ হাজার টাকা দেবে বলে জানায়। প্রগতি ফ্যাশনের মালিক সৈয়দ মোহাম্মদ কামালউদ্দিন বলেন, তাদের পছন্দ করা কাপড়ের বিক্রয় মুল্য ৯ হাজার টাকা জানালে তারা ঐ দোকান থেকে কাপড় ক্রয় না করে ফকির হাট বাজারের আরেকটি দোকানে গিয়ে কাপড় দেখে। যে শাড়ি তারা প্রগতি ফ্যাশন থেকে ক্রয় করেনি, ওই শাড়ি আরেকটি দোকনে গিয়ে পছন্দ করার পর ১০ হাজার টাকা দাম দেওয়ার পর ৭ হাজার টাকায় ক্রয় করে। কাপড় দোকান ও জুতার দোকানগুলোতে অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মতো নির্ধারিত মূল্যতালিকা না থাকায় ক্রেতাদের কাছ থেকে গলাকাটা দাম নেয়া হচ্ছে বলে একাধিক ক্রেতা অভিযোগ করেন। জুতার দোকানগুলোতে কয়েকটি ব্যান্ডের মূল্য লেখা থাকলেও বেশির ভাগ কোম্পানির নির্ধারিত মূল্য মুছে ফেলে নিজেরা তাদের ইচ্ছামতো মূল্য বসিয়ে ক্রেতাদের কাছ থেকে বেশি মূল্য নেয় হচ্ছে অভিয়োগ পাওয়া গেছে।
ফকির হাটবাজারের মায়াপরী নামের কাপড়ের দোকানের মালিক নাসির উদ্দিনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাপড়ের দোকানে কোন মূল্যতালিকা নেই। রাউজানের শপিং মার্কেটগুলোর ঈদের কেনাকাটা প্রসঙ্গে রাউজান থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, রাউজানের মার্কেটে ঈদের কেনাকাটা করতে ক্রেতাদের কোনো ধরনের ভোগান্তি যাতে না হয় তার জন্য পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। সার্বক্ষণিক মার্কেটগুলোতে পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এদিকে ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতাদের বহনকারী যানবাহনগুলো এলোপাথারিভাবে সড়কের ওপর পার্কিং করে রাখায় যানজট হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ফকিরহাট বাজারের ডিউশপিং মার্কেটের সামনে সামান্য আয়তনের পার্কিংয়ের জায়গা রাখা হলেও অন্যান্য মাকের্টগুলোতে পাকিংয়ের স্থানা না রাখায় ক্রেতাদের নিয়ে আসা সিএনজি অটোরিকশা, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস মার্কেটের সামনে ও রাস্তায় পার্ক করে রাখায় যানজট সৃষ্টি হয়ে পথচারী ও যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।