সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
নিউজিল্যান্ডকে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই করার পর ভারতের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টেও দোর্দ- প্রতাপে বিজয় কেতন উড়িয়েছিল ইংলিশরা। অথচ ভারতের বিপক্ষে রঙিন পোশাক গায়ে চড়াতেই পুরোপুরি ছন্দপতন। টি-২০ সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হারের পর স্বাগতিকদের ওয়ানডে সিরিজের শুরুটা হলো রীতিমত লজ্জাজনক। খবর ডেইলি বাংলাদেশ’র।
ওভালে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে জস বাটলারের ইংল্যান্ড। ভারতের বিপক্ষে নিজেদের সর্বনিম্ন স্কোরের রেকর্ড গড়ে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হেরে গেছে তারা। স্বাগতিকদের দেওয়া ১১১ রানের লক্ষ্য ১৮৮ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে গেছে রোহিত শর্মার দল।
টস জিতে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল ভারত। এরপর শুরু সফরকারীদের ধ্বংসযজ্ঞ। প্রথম ৬ ব্যাটসম্যানের ৪ জনই ফিরেছেন রানের খাতা খোলার আগেই। টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকস তো প্রথম বলেই ধরেছেন প্যাভিলিয়নের পথ।
সাদা বলের অধিনায়ক বাটলার কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবে দলীয় সর্বোচ্চ ৩০ রানে পৌঁছানোর পরই তার পথ রোধ করেন মোহাম্মদ শামি।
যদিও এদিন বিধ্বংসী বোলিংয়ে ইংলিশদের কোমর ভেঙে দিয়েছেন টেস্ট অধিনায়কত্বের অভিষেকে এই ইংল্যান্ডের কাছে হারের মুখ দেখা জাসপ্রিত বুমরাহ। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ৬ উইকেট তুলে নেন এই পেসার। তার বোলিং তোপেই ২৫.২ ওভারে ১১০ রান গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস।
১১১ রানের মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৮.৪ ওভারেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে ভারত। অধিনায়ক রোহিত শর্মার ৭ চার ও ৫ ছয়ে সাজানো ৫৮ বলে ৭৬ এবং শিখর ধাওয়ানের ৫৪ বলে ৩১ রানের ধীরস্থির ইনিংসে ভর করে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত।
এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারত। ১৪ এবং ১৬ জুলাই সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ যথাক্রমে লর্ডস এবং ম্যানচেস্টারে অনুষ্ঠিত হবে।