নিজস্ব প্রতিবেদক »
আগামীর নগরে যুক্ত হচ্ছে মেট্রোরেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে মেট্রোরেল স্থাপনের জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) মেট্রোরেল স্থাপনের জন্য সম্ভাব্যতা জরিপের কাজ শেষ করলেও এরপর আর কোনো অগ্রগতি নেই। এখন নতুন করে সম্ভাব্যতা জরিপের জন্য মাঠে নামছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। অপরদিকে বাংলাদেশ রেলওয়েও প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রস্তুত। এখন কে করবে এই মেট্রোরেল তা নিয়ে চলছে জল্পনা কল্পনা।
সবার আগে চট্টগ্রামে মেট্রোরেল নিয়ে সম্ভাব্যতা জরিপ করা চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ বলেন, আমরা একটি সম্ভাব্যতা জরিপ করলেও পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি করা হয়। ঢাকার আদলে চট্টগ্রামে মেট্রোরেল চালুর বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। তারপরও যেহেতু আমরা একটি জরিপ করেছি, সেটি মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেব। এতে যারাই পরবর্তীতে মেট্রোরেলের কাজ করতে আসুক এটি তাদের কাজে লাগবে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, চট্টগ্রামে মেট্রোরেল লাগবেই। চট্টগ্রাম নগরের গুরুত্ব যে হারে বাড়ছে এবং একইসাথে শহরে বাড়ছে জনসংখ্যার চাপ। তাই এখনই মেট্রোরেলের কাজ শুরু করা প্রয়োজন। এজন্য আমরা একটি সম্ভাব্যতা জরিপের কাজ করার পরিকল্পনা করেছি।
কিন্তু ইতিমধ্যে চসিকের করা জরিপ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘সিটি করপোরেশন তাদের মতো করে জরিপ করেছি। আমরা বিদেশি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান দিয়ে স্টাডির কাজটি করাবো। এতে ভালো একটি পরিকল্পনা পাওয়া যাবে এবং প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সহজতর হবে।’
মেট্রোরেল স্থাপন নিয়ে পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘ভবিষ্যতে অবশ্যই চট্টগ্রাম নগরীতে মেট্রোরেলের প্রয়োজন হবে। অধিক নগরবাসীকে পরিবহনে মেট্রোরেলের বিকল্প নেই। আর এটি বাস্তবায়ন নিয়ে রেলওয়েকে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। যদি সরকার রেলওয়েকে দায়িত্ব দেয় তাহলে তা আমরা করবো। তবে ঢাকায় পৃথক একটি সংস্থার মাধ্যমে মেট্রোরেল নির্মিত হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হলে মেট্রোরেলের সম্ভাবনা বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছিল। কিন্তু একটি প্রধান রোডে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হলেও অন্য অনেক রুটে মেট্রোরেল নির্মিত হতে পারে। এছাড়া শহরতলীর বিভিন্ন এলাকা এবং শহরের বাইরের গ্রোথ সেন্টারগুলোর সাথে যোগাযোগ সহজতর করতে পারে এই মেট্রোরেল। উল্লেখ্য, মহেশখালীতে মাতারবাড়ি বন্দর, মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর, বে টার্মিনালসহ অনেক উন্নয়ন প্রকল্প হচ্ছে চট্টগ্রামকে ঘিরে। তাই নাগরিকসেবা নিশ্চিতে আগামীর চট্টগ্রামে মেট্রোরেলের বিকল্প নেই।