নিজস্ব প্রতিবেদক »
‘১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালোরাত্রিতে আওয়ামীলীগের ব্যর্থতায় জাতি যখন নেতৃত্বশূন্য দিশেহারা তখনই জিয়াউর রহমান উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো আবির্ভূত হয়েছিলেন। এমনি এক অনিশ্চয়তার মধ্যে ষোলশহর বিপ্লব উদ্যানে তিনি পাক বাহীনির বিরুদ্ধে ‘উই রিভোল্ট’ বলে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। সেদিন আওয়ামীলীগের অনেক নেতাই পার্শ্ববর্তী দেশে চলে গিয়েছিলেন। নেতৃত্বশূন্য এই জাতিকে মুক্তি দিতে এগিয়ে এসেছিলেন জিয়াউর রহমান।’
গতকাল সোমবার সকালে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ষোলশহরস্থ বিপ্লব উদ্যানে নগর বিএনপির পুষ্পস্তবক অর্পণ ও র্যালিপূর্ব সমাবেশেনগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, তিনি কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন আবার অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। তার মেধা ও সামর্থ্যরে কারণে তিনি দুইটা সেক্টরের দায়িত্ব পালন করেছেন। বীর উত্তম জিয়াউর রহমান ছিলেন জেড ফোর্সের অধিনায়ক। এটাই ইতিহাস। এর বাইরে আর কোন বক্তব্য থাকতে পারেনা। কিন্তু আওয়ামীলীগ এখন নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের বিকৃত ও মিথ্যা ইতিহাস শিখাচ্ছে। মিথ্যা ইতিহাস শিখানোর দায়ে নতুন প্রজন্ম আওয়ামী লীগকে ক্ষমা করবে না।’
ডা. শাহাদাতবলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতি কর্তৃত্ববাদী হয়ে ওঠার এক পর্যায়ে একদলীয় বাকশালী শাসনব্যবস্থায় রূপ পেয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর সেনাবাহিনীর একটি অংশ আধিপত্যবাদের ভাবনায় প্ররোচিত হয়ে তৎকালীন সেনাবাহিনীরচিফ স্টাফ অফিসার জিয়াউর রহমানকে সপরিবারে ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করে। তিনি ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ক্যান্টনমেন্টে বন্দি ছিলেন। ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে তিনি মুক্ত হন। ৭ নভেম্বরের বিপ্লবের মাধ্যমেই দেশে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের সূচনা হয়েছিল। কিন্তু আজকের বাংলাদেশে মানুষের ভোটাধিকার, গণতন্ত্র ও জনগণের নিরাপত্তা কিছুই নেই। দেশ ও জাতি আজ চরম ক্রান্তিকাল অতিবাহিত করছে। ক্ষমতাসীন সরকার মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছে। তাই ৭ নভেম্বরের চেতনাকে ধারণ করে গণজাগরণ সৃষ্টির মাধ্যমে বর্তমান অগণতান্ত্রিক সরকারের পদত্যাগের দাবিতে সবাইকে রাজপথে নেমে আসতে হবে।
এসময় নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ৭ নভেম্বর সৃষ্টি না হলে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতো না। গণতন্ত্র বর্তমানে একটি ঐতিহাসিক শব্দে পরিণত হয়েছে। কারণ দেশে গণতন্ত্র বলতে কিছুই নেই। দেশে চলছে একনায়কতন্ত্রের আধিপত্যবাদ। এমতাবস্থায় ৭ নভেম্বরের বিপ্লবের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশপ্রেমিক জনতাকে এগিয়ে আসতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো.শাহ আলম, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, হাজী মো. আলী, মাহবুব আলম, নিয়াজ মো. খান, এস এম আবুল ফয়েজ, আশরাফ চৌধুরী, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মন্জুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, মো. কামরুল ইসলাম, নগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, পাঁচলাইশ থানা বিএনপির সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, পাহাড়তলী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন জিয়া, বায়েজিদ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের জসিম, মহানগর বিএনপি নেতা খোরশেদ আলম, মো. আলী মিটু, দিদারুল আলম, ইব্রাহিম বাচ্চু, আবদুল বাতেন, একেএম পেয়ারুল, ইকবাল হোসেন, ইদ্রিস আলী, খোরশেদ আলম কুতুবী, মো. শাহজান, আজাদ বাঙ্গালি, আরিফ মেহেদী, ইউনুছ চৌধুরী হাকিম, নকিব উদ্দিন ভূঁইয়া, আলী আজম চৌধুরী, ইউছুপ শিকদার, শ্রমিকদলের ইদ্রিস মিয়া, শম জামাল উদ্দিন, তাহের আহম্মেদ, কৃষকদলের আহ্বায়ক মো. আলমগীর, যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, মহিলা দলের ছকিনা বেগম, কামরুন নাহার লিজা, গোলজার বেগম, ছাত্রদলের সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, থানা বিএনপির খায়রুজ্জামান জুনু, শাহিন আহম্মেদ কবির, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এস এম মফিজ উল্লাহ, কাজী শামসুল আলম, ফারুক আহমদ, এস এম ফরিদুল আলম, মো. আসলাম, মোশারফ জামাল, রাসেল পারভেজ সুজন, আজম উদ্দিন, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক হাজী এমরান উদ্দীন, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, হাসান ওসমান চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন আরজু, মনজুর মিয়া, মনজুর কাদের প্রমুখ।