নিজস্ব প্রতিবেদক »
এক বস্তার প্যাকেটে অন্য বস্তার চাল মিশিয়ে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। শুধু চালের মিশ্রণই নয়, ওজনে কারচুপি করছে দামও নিচ্ছে বেশি । গতকাল চট্টগ্রামে চালের পাইকারি আড়ত পাহাড়তলীতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার পরিচালিত অভিযানে এমন অপরাধে তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর পরিচালিত অভিযানে দেখা যায়, পাহাড়তলী বাজারে পরিচালিত অভিযানে প্রায় সব দোকানেই চালের মিশ্রণ ঘটিয়ে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। এরফলে বেশি দামে মিশ্রিত চাল কেনে প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ ক্রেতারা। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর পরিচালিত অভিযানে অন্য মিলের বস্তায় চাল রাখা, ওজনে কারচুপি এবং অতিরিক্ত দামে চাল বিক্রি করায় তিন প্রতিষ্ঠান থেকে লক্ষাধিক টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
গতকাল সোমবার এ অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপপরিচালক ফয়েজ উল্যাহ।
অভিযানে যমুনা রাইচ মিল এজেন্সিতে বগুড়ার রাইচ মিলের বস্তায় নিজেরা অন্য চাল প্যাকেটজাত করে বিক্রি করতে দেখা যায়। এছাড়া দামও বেশি রাখা হচ্ছে। এজন্য প্রতিষ্ঠানটিকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া চাল যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করায় এবং বেশি দামে বিক্রির দায়ে ন্যাশনাল ও রাইচ এজেন্সিকে ৮০ হাজার টাকা, মেয়াদোর্ত্তীণ চাল বিক্রির দায়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া বেনামী ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি করায় সতেজ ডিপার্টমেন্টাল স্টোরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অভিযানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আনিছুর রহমান, সহকারী পরিচালক দিদার হোসেন এবং সিএমপির একটি টিম।
উল্লেখ্য, সারাদেশে চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এ অবস্থায় দাম মানুষের নাগালের মধ্যে রাখতে এসব অভিযান চলছে।