নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »
ফয়সালকে বহনকারী সিএনজি অটোরিকশাটি দুর্বৃত্তের দল হঠাৎ সামনে এসে আটকিয়ে কোন কিছু বুঝে না উঠার আগেই কোপাতে থাকে। এরপর কুপিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে ফয়সালকে খুন করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। আর এ দুর্বৃত্ত দলের নেতৃত্ব দেয় আজিজ সিকদারের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন সদস্য।
বুধবার সকালে ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল হত্যার প্রধান আসামি আজিজ সিকদারের প্রাথমিক স্বীকারোক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে র্যাব-১৫ এর উপঅধিনায়ক মেজর মঞ্জুর মেহেদি এই তথ্য জানান।
উল্লেখ্য, রোববার কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন থেকে ফেরার পথে কুপিয়ে খুন করা হয় সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল উদ্দিনকে।
ঘটনার পরপরই র্যাব অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল উদ্দিন হত্যা মামলার প্রধান আসামী আজিজ সিকদার ও ফিরোজ আলমকে আটক করে। তাদেরকে আটকের বিষয়ে বুধবার সকালে ব্রিফিং করে র্যাব। সেখানে এই তথ্য জানানো হয়।
এই ঘটনায় মঙ্গলবার রাত ১১ টার দিকে সদর মডেল থানায় নিহত ফয়সালের বড়ভাই নাছির উদ্দীন বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়।
র্যাবের হাতে আটক আজিজ সিকদার খুরুশকুল ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত বাঁচা মিয়া সিকদারের ছেলে এবং ফিরোজ আলম একই এলাকার সিরাজুল হক সিকদারের ছেলে।
মেজর মঞ্জুর মেহেদি জানান, এই হত্যাকাণ্ডটি সংঘবদ্ধভাবেই করা হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত হত্যার মূল উদ্দেশ্য জানা যায়নি। এই হত্যার সময় ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো উদ্বারের চেষ্টা চলছে।
তিনি জানান, আজিজ ও ফিরোজ প্রাথমিকভাবে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরো অনেকের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে বলে আমরা প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে জানতে পারি। তাই এ বিষয়টিও গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে ঘটনার দিন অভিযান চালিয়ে পুলিশ ৬ জনকে আটক করেছিল।
র্যাবের হাতে আটক আসামিদের কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায় র্যাব।