নিজস্ব প্রতিবেদক >>
চট্টগ্রাম বন্দরের আসন্ন কনটেইনার জট কমাতে সকল পণ্য অফডকে পাঠানোর নির্দেশনা জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গতকাল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দ্বিতীয় সচিব (কাস্টমস নীতি) মোহাম্মদ মেহরাজ-উল-আলম সম্রাট স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে কনটেইনার জট নিরসনের লক্ষ্যে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সব ধরনের পণ্য অফডকে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়। একইসাথে অফডক থেকে পণ্য খালাসের অনুমোদন দেয়া হয়।
অফিস আদেশে আরো বলা হয় বন্দর থেকে অফডকে পণ্য নেওয়ার সময় শতভাগ স্ক্যানিং করতে হবে এবং পণ্য খালাসের সময় সংশ্লিষ্ট কমিটি শতভাগ কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন করবে। এদিকে এনবিআরের এই আদেশের পর কথা হয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহানের সাথে। তিনি বলেন, ‘আমরা আজ ( রোববার) থেকেই কনটেইনার অফডকে পাঠানো শুরু করেছি।’
কি পরিমাণ কনটেইনার অফডকগুলোতে পাঠাবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা ধীরে ধীরে অফডকে পণ্য পাঠাবো। তবে ইয়ার্ডে ৪০ হাজারের নিচে কনটেইনার রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।’
বেসরকারি অফডক মালিকদের সংগঠন বিকডার প্রেসিডেন্ট নুরুল কাইয়ুম খান বলেন, ‘আমাদের এখানে রপ্তানিমুখী কনটেইনারের চাপ রয়েছে। তারপরও ৫ আগস্টের পর থেকে হয়তো শিল্পকারখানা খুলে দেয়া হতে পারে। তাই এই সময়ের জন্য আমদানিকৃত কনটেইনারের চাপ আমাদের নিতে হবে। এজন্য আমরা প্রস্তুতও আছি। দেশের চলমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।’
এর আগে অফডকগুলোতে ৩৭ আইটেমের পণ্য অফডকগুলোতে স্থানান্তর করা হতো। সেসব পণ্য অফডক থেকে ডেলিভারি নিতো আমদানিকারকগণ। কিন্তু এখন সব ধরনের পণ্যবাহী কনটেইনার অফডকে পাঠিয়ে দেয়া হবে। বন্দরের ইয়ার্ডে পর্যাপ্ত খালি জায়গা রাখতে এর কোনো বিকল্প ছিল না। তবে অনেকের মতে এধরনের আদেশ সারা বছরই থাকা প্রয়োজন। এতে বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী কনটেইনার অফডকে পাঠাতে পারবে।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর ঈদের সময় চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনারের চাপ বাড়ে। কিন্তু এবার ঈদের ছুটির পাশাপাশি লকডাউনে পোশাক কারখানা বন্ধ থাকায় পণ্য ডেলিভারি হচ্ছে না। আর এতেই বাড়ছে জট। গত ২৩ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের পক্ষ থেকে এই কঠোরতা নেয়া হয়েছে। এই সময়ে সকল শিল্প কারখানা বন্ধ রাখারও আদেশ রয়েছে।