নগরীতে গণপ্রচারণায় সুজন
নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা, সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন হঠাৎ করেই দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন কোভিড আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এ অবস্থায় ১৪ এপ্রিল থেকে সারাদেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরও লক্ষ্য করা যাচ্ছে এক শ্রেণীর অবিবেচক মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। চলমান পরিস্থিতিতে আমাদের অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, সাবান দিয়ে বারবার হাত ধুতে হবে আর অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে।
গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় নগরীর এ.কে.খান মোড়, অলংকার মোড়, নিউ মার্কেট মোড় এবং রিয়াজউদ্দিন বাজারে গণপ্রচারণায় নগরবাসীর উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি নগরীর মোড়গুলোতে বিভিন্ন গণপরিবহনে সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি না মেনে যাত্রী পরিবহন করতে দেখে চালক এবং যাত্রীদেরকে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, একদিকে তারা অধিক হারে ভাড়া নিচ্ছে অন্যদিকে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করে করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে যা কোনভাবেই কাম্য নয়।
এ সময় তিনি যাত্রীদের মাঝে সচেতনতামূলক মাস্ক, সাবান এবং স্যানিটাইজার বিতরণ করেন।
পরে নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারের বিভিন্ন পণ্যের দামও পর্যবেক্ষণ করেন সুজন। এ সময় বাজারে আগত ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন রমজান আসন্ন। সেই সাথে সরকার লকডাউনও ঘোষণা করছে। আর এটাকে তুরুপের তাস হিসেবে ব্যবহার করছে এক শ্রেণীর অসাধু আমদানিকারক আর কতিপয় পাইকারি ব্যবসায়ী। তিনি বাজার মনিটরিংয়ের সাথে যারা যুক্ত তাদেরকে ঐসব সিন্ডিকেটের আমদানি মূল্য এবং বিক্রয় মূল্য তদারকি করার আহ্বান জানান।
তিনি জনসাধারণকে ঐসব সিন্ডিকেটকে সামাজিকভাবে বয়কট করারও আহ্বান জানান। বাজারে গণপ্রচারণার পাশাপাশি আগত ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মাঝে মাস্ক, সাবান এবং স্যানিটাইজারও বিতরণ করেন সুজন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক উদ্যোগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজী মো. ইলিয়াছ, আব্দুর রহমান মিয়া, কাউন্সিলর আব্দুস সালাম মাসুম, চট্টগ্রাম জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি সালেহ আহমদ সুলেমান, ব্যবসায়ী সৈয়দ মোজাফফর হোসেন, মোরশেদ আলম, বাগীশিক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ডা. অঞ্জন কুমার দাশ, সাহেদ হোসেন খান, শিশির কান্তি বল, মো. বাবলু, সিরাজউদ্দৌল্লা নিপু, হারুনুর রশীদ, মো. জাহাঙ্গীর, মো. ওয়াসিম, মঈনুল আলম জয়, মহিউল আলম হাজী প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি