নিজস্ব প্রতিবেদক »
মহেশখালীর নিকটবর্তী সাগরে ভাসমান দুইটি তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) টার্মিনালের একটি লাইনের কাজ শেষ হয়েছে। ফলে চট্টগ্রামে গ্যাসের চাহিদা পূরণে আর কোনো সমস্যা হবে না বলে জানান কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) কর্মকর্তারা। গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন তারা।
কেজিডিসিএল সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানার আগের দিন (শনিবার) থেকে এলএনজি দুটি পাইপলাইনের কাজের কারণে চট্টগ্রামজুড়ে গ্যাস সরবরাহ সাময়িক বন্ধ রাখা হয়। ফলে আবাসনের রান্না, বাণিজ্যিক ব্যবহারসহ গাড়ি চলাচলে গ্যাসের সংকটে ভুগেন চট্টগ্রামবাসী। পরবর্তীতে এ সংকট কাটতে ছয় থেকে সাত দিন সময় লাগার কথাও জানায় সংস্থাটি। এর মধ্যে নগরবাসীর ভোগান্তি তীব্র মাত্রায় পৌঁছায়। অন্যদিকে এ সংকটের সুযোগ নিয়ে বাড়িয়ে দেওয়া হয় সিলিন্ডার গ্যাস ও কেরোসিন তেলের দাম। সংকটের দুইদিনের মাথায় একটি গ্যাসের পাইপলাইনের কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হওয়ার বার্তা জানায় সংস্থাটি।
এ প্রসঙ্গে সংস্থাটির অপারেশন ও দক্ষিণ বিপণন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. আমিনুর রহমান বলেন, ‘এলএনজি টার্মিনাল থেকে দুইটি লাইনের মাধ্যমে আমরা গ্যাস সরবরাহ করি। এই দুইটি লাইনে ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হয়। দুইটি লাইনের সমস্যা একসঙ্গে হওয়ায় আমাদের গ্রাহকরা ভোগান্তিতে পড়ে যায়। আজকে (সোমবার) সকালে একটি লাইনের কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। একটি লাইন দিয়ে আমরা পুরো চট্টগ্রামের গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে সক্ষম। সুতরাং আমাদের গ্রাহকদের আর সমস্যায় পড়তে হবে না। অন্য লাইনটির কাজ চলছে। ওটার কাজ শেষ হলে আমরা ঢাকায় সরবরাহ করতে পারবো।
নগরীর বিভিন্ন জায়গায় গতকাল সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৪টা পর্যন্ত খবর নিয়ে জানা যায়, অধিকাংশ সংযোগে গ্যাস সরবরাহ ঠিকভাবে হলেও হালিশহর, আকবরশাহ, চান্দগাঁওসহ বেশ কিছু এলাকায় গ্যাসের সরবরাহ ঠিক হয়নি। ফলে তাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছিলো।
এ নিয়ে কথা হলে কেজিডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, গ্যাস সংকটে চট্টগ্রামবাসী বেশ কষ্ট পেয়েছে। তার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি। তবে এখন গ্যাস সরবরাহ ক্রমান্বয়ে স্বাভাবিক হতে শুরু করছে’।
তিনি সোমবার রাতের মধ্যে চট্টগ্রামের সবগুলো সংযোগের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যাবে উল্লেখ করে বলেন, এক্ষেত্রে গ্যাসের চাপ কিছু জায়গায় আংশিক কম থাকতে পারে। তবে এ সংকট দুই-তিনদিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে।