সুপ্রভাত ডেস্ক »
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) জলদস্যুদের কবলে পড়া এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়া উপকূলের গারাকাদ থেকে প্রায় ২০ মাইল দূরে নোঙর ফেলেছে। বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে পৌঁছায় বলে নিশ্চিত করেছেন জাহাজটির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম’র গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম।
জাহাজে থাকা ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক এখন জলদস্যুদের হাতে জিম্মি। জিম্মি হওয়ার সময় এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুর উপকূল থেকে ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার বা প্রায় ৭০০ মাইল পূর্বে অবস্থান করছিল। বাংলাদেশি জাহাজের জিম্মি হওয়ার খবর ওই দিনই প্রথম জানায় যুক্তরাজ্যের সামরিক বাহিনী।
পূর্ব আফ্রিকা উপকূলে জলদস্যুতা নির্মূলে কাজ করে যাওয়া এই ইউরোপীয় নৌ নিরাপত্তা বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অপারেশন আটলান্টার অংশ হিসেবে তারা সোমালিয়া উপকূলে একটি জাহাজ মোতায়েন করেছে। ওই জাহাজটি বাংলাদেশি কার্গো জাহাজ আবদুল্লাহকে অনুসরণ করছে।
ওই অঞ্চলে জলদস্যুদের রুখতে ও চলাচলকারী জাহাজগুলোর নিরাপত্তায় ইইউ ‘অপারেশন আটলান্টা’ নামে অভিযান পরিচালনা করে।
মোজাম্বিকের রাজধানী মাপুতো থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়ায় যাওয়ার পথে সোমালিয়ার ২০ জন সশস্ত্র জলদস্যু বাংলাদেশি জাহাজটি জিম্মি করেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ মেরিটাইম সিকিউরিটি কোম্পানি।
এদিকে ইইউএনএভিএফওআর তাদের বিবৃতিতে বলেছে, এমভি আবদুল্লাহর ওপর নজর রাখার পাশাপাশি ‘কার্যকর পদক্ষেপ’ নেওয়ার জন্য অপারেশন আটলান্টার পক্ষ থেকে সোমালিয়া ও বাংলাদেশ সরকার এবং ভারতীয় নৌবাহিনীসহ সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে তারা।
সেই কার্যকর পদক্ষেপ কী হতে পারে, তা স্পষ্ট করা না হলেও মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্স এ আরেক পোস্টে ইইউএনএভিএফওআর তাদের যুদ্ধজাহাজ এবং সামরিক বিমান ‘অপারেশনের এলাকায়’ সরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছে।
সোমালি জলদস্যুদের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো যোগাযোগ করা হয়নি বলে জাহাজের মালিকপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
১৩ বছর আগে একই কোম্পানির আরও একটি জাহাজ অপহরণ করেছিল সোমালি জলদস্যুরা। এমভি জাহান মণি নামের ওই জাহাজে ২৫ জন নাবিক এবং তাদের একজনের স্ত্রী ছিলেন।
অনেক দেনদরবার ও দরকষাকষি শেষে মোটা অঙ্কের মুক্তিপণ দিয়ে ১০০দিন পর তাদেরকে মুক্ত করে দেশে আনা হয়।