নিজস্ব প্রতিনিধি, টেকনাফ »
কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। বৈরি আবহাওয়ার কারণে সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া সাড়ে তিন হাজার পর্যটক ফিরে এসেছেন। তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত কেটে যাওয়ায় মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে এসব জাহাজে করে টেকনাফে পৌঁছেন পর্যটকরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের ট্রাফিক সুপারভাইজার জহির উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, মঙ্গলবার সকালে বৈরি আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল শুরু হয়। এতে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজগুলো দ্বীপে পৌঁছে। আবার এসব জাহাজ ফেরার সময় আটকে পড়া পর্যটকদের নিয়ে আসে।
এদিকে আবহাওয়া কার্যালয় জানায়, আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় কক্সবাজারের উপকূলে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। নাফ নদ ও সমুদ্র শান্ত আছে। ঁ ৭ম পৃষ্ঠার ৫ম কলাম
ঁ শেষ পৃষ্ঠার পর ফলে মাছ ধরার ট্রলারসহ সব ধরনের নৌযানকে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এর আগে, ২১ ফেব্রুয়ারি তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত থাকায় উপজেলা প্রশাসন এ রুটে জাহাজসহ সব নৌযান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিল।
সকালে টেকনাফ দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে বিআইডব্লিউটিএ’র অনুমতি নিয়ে কেয়ারি সিন্দাবাদ, কেয়ারি ক্রু অ্যান্ড ডাইন, এমভি পারিজাত, এমভি ফারহান, এমভি সুকান্ত বাবু, এমভি বে ক্রুজার জাহাজ পর্যটকদের নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। একই দিন সন্ধ্যায় এসব জাহাজে করে আটকে পড়া পর্যটকরা ফিরে আসেন।
এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী বলেন, ‘বৈরি আবহাওয়া কেটে যাওয়ায় পর্যটকবাহী জাহাজে করে সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া পর্যটকরা ফিরেছেন। একই দিন আরও বেশ কিছু পর্যটক ভ্রমণে গেছেন দ্বীপে।’
দ্বীপের বাসিন্দা মো. জুবাইর জানান, দ্বীপে আটকে পড়া পর্যটকরা মঙ্গলবার বিকালে ফিরে গেছেন। এ ছাড়া ভ্রমণে আসা আরও দুই হাজার পর্যটক দ্বীপে অবস্থান করছেন।
রোববার ও এর আগে বিভিন্ন সময় এসব পর্যটক সেন্টমার্টিনে যান। সোমবার সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় পর্যটকদের সেখানে অবস্থান করতে হয়েছে।
শৈল-সৈকত ও দেশগ্রাম