নিজস্ব প্রতিবেদক »
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন নিয়ে দিনভর উৎসবের আমেজ ছিল নগরীতে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে প্রজেক্টরের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের লাইভ সম্প্রচার, আলোচনা সভা, র্যালি, পদ্মা সেতুর রেপ্লিকা, কনসার্টসহ নানামুখী অনুষ্ঠানে উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছিল। মানুষের মাঝে অন্যরকম এক প্রশান্তি দেখা গেছে।
জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন পদ্মা সেতুর রেপ্লিকা স্থাপন করেছেন জামালখান মোড়ে। সেতুর আদলে এই রেপ্লিকা ঘিরে মানুষের জটলা ও সেলফি তোলার উৎসব ছিল দিনভর। সন্ধ্যার পর লাইটিং করায় আরো ঝলমলে হয়ে ওঠে এই রেপ্লিকা।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন বলেন, ‘এটা হলো দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো। অনেকের সুযোগ হবে না মূল পদ্মা সেতুতে গিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্ত হতে। তাই এই রেপ্লিকা তৈরি করা হয়েছে। যাতে চট্টগ্রামের লোকজন এখানেই পদ্মা সেতুর আবহ খুঁজে পায়।’
তিনি আরো বলেন, ভবিষ্যতে স্টিলের কাঠামোর মাধ্যমে এই রেপ্লিকা তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। যদি পৃষ্ঠপোষক পাই তাহলে এখানে আজীবনের জন্য এই রেপ্লিকা রেখে দেয়া হবে।
জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর যেখানে রেপ্লিকা করেছেন জেলা প্রশাসন জিমনেসিয়াম চত্বরে বিশাল আয়োজন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান লাইভ সম্প্রচারের আয়োজনের পাশাপাশি আলোচনা সভা এবং বিকেলে কনসার্টের আয়োজন করেছেন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান লাইভ সম্প্রচারের আয়োজন করা হয়েছিল। এছাড়া বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) আলোচনা সভা ও লাইভ সম্প্রচার করেছে পদ্মার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। ‘আমার টাকায় আমার সেতু, বাংলাদেশের পদ্মা সেতু’ স্লোগানে বর্ণাঢ্য র্যালি উদযাপন করে মেট্রোপলিটন পুলিশ। এছাড়া জেলা পুলিশের উদ্যোগেও র্যালি আয়োজন করা হয়। স্বেচ্ছাসেবক লীগের আয়োজনে নগর জুড়ে বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়। এছাড়া নগরীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ বিভিন্ন নেতার উদ্যোগে প্রজেক্টরের মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়। এদিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের উদ্যোগে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, পদ্মা সেতু বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার মতো একটি সেতু। বিশ্বের সর্বোচ্চ খরস্রোতা নদী আমাজানের পর দ্বিতীয় খরস্রোতা নদী এই পদ্মা। আর এই প্রমত্তা পদ্মায় সেতু নির্মাণ করে দেশের ২১টি জেলাকে মূল ভূখণ্ডের সাথে যুক্ত করা হয়েছে। না, বৈদেশিক কোনো সাহায্য নয়, সম্পূর্ণ আমার দেশের টাকায় এই সেতু নির্মাণ করে সরকার। শনিবার এই সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একমাত্র এই শেখ হাসিনার কারণেই পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে।