মতবিনিময়কালে চসিক প্রশাসক
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বলেছেন, নাগরিক সুযোগ-সুবিধাবঞ্চিত ওয়ার্ডগুলোতে উন্নয়নের প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেও অনেকগুলো দৃশ্যমান নয় এবং এগুলোর কোনো সুফলও পাওয়া যাচ্ছে না। এই সমস্ত ওয়ার্ডের উন্নয়নের জন্য বড় অংকের বরাদ্দ ও দীর্ঘ মেয়াদী প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রয়োজন। কিন্তু তা সংক্ষিপ্ত মেয়াদকালীন সময়ে করা সম্ভব নয়। তবে যে-সমস্যাগুলো প্রকট এবং এখনই সমাধান করা প্রয়োজন সেগুলো জরুরি ভিত্তিতে সম্পন্ন করা হবে।
তিনি গতকাল বিকেলে ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডে নাগরিক দুর্ভোগ লাঘব এবং এর আশু সমাধানে স্থানীয় বিশিষ্ট ও গণম্যান্য ব্যক্তিদের সাথে ওয়ার্ড কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ড নগরীর অন্তর্ভুক্ত হলেও এর পুরো চেহারা গ্রামীণ। প্রায় সব সড়কই কাঁচা। এ ওয়ার্ডের পাহাড়ি এলাকাতে যে ছরাগুলো ছিলো তা অবৈধ দখলদারদের হাতে এবং তারা এগুলো ভরাট করে ফেলেছে। তিনি এই ওয়ার্ডে গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ সড়ক ব্রিক সয়েলিং, সড়ক আলোকায়নের জন্য এলইডি লাইট স্থাপন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন ৪টি কন্টেইনার ডাস্টবিন বসানোর ব্যবস্থা করার ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়ে বলেন, এই ওয়ার্ডের বিদ্যুৎ সমস্যার বিষয়ে পিডিবি’র সাথে কথা হয়েছে। এখানে বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। তিনি আরো জানান, নাথপাড়া সড়ক, কমলী ছরা সড়ক, ঠান্ডা রাজার সড়কের ব্রিক সয়েলিং ও নালা সংস্কার করা হবে। বেদখলকৃত ছরা ও খাল সমূহ উদ্ধার করে পানি চলাচলের বাঁধা অপসারণ করা হবে।
তিনি এলাকাবাসীকে কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ডেউ মোকাবেলায় ঘরের বাইরে মাস্ক ব্যবহার ও ঘরে বাইরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী শফিউল আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ মান্নান, সাবেক কাউন্সিলর জাফর আলম চৌধুরী, তৈফিক আহমদ চৌধুরী, আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি সামশুল আলম, এম.এ মালেক, আবদুর রহমান, রঞ্জিত চক্রবর্তী। উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুফিদুল আলম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) ঝুলন কুমার দাশসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। বিজ্ঞপ্তি