নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার :
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় নতুন তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নতুন আইও’র নাম মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম। তিনি র্যাবে কর্মরত বাংলাদেশ পুলিশের একজন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ৩১ জুলাই রাতে নিহত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসের করা টেকনাফ থানার মামলায় ১৩ আগস্ট তাকে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর আগে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জামিল আহমেদ মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি বলেন, নতুন আইও র্যাবের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলামের নেতৃত্বে রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া আসামি বরখাস্ত হওয়া ৪ পুলিশ সদস্য কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়া এবং সন্দেহজনক তিনি আসামি টেকনাফের বাহারছড়ার মারিশবনিয়া এলাকার নাজিম উদ্দিন নাজু’র ছেলে নুরুল আমিন, নজির আহমদের ছেলে নিজাম উদ্দিন ও জালাল আহমদের ছেলে মোহাম্মদ আয়াছকে শুক্রবার (১৪ আগস্ট) সকালে জেলা কারাগার থেকে রিমান্ডের জন্য আইও’র হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
৮ ও ৯ আগস্ট কক্সবাজার কারাগার ফটকে ৪ আসামি-কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায় আইও। ফলে তাদের আরও ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করলে ১২ আগস্ট শুনানি শেষে তাদের প্রত্যেকের জন্য ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ্।
৩১ জুলাই রাতে পুলিশের গুলিতে খুন হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় তার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস পুলিশের ৯ সদস্যকে আসামি করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (টেকনাফ) আদালতে ৫ আগস্ট হত্যা মামলা দায়ের করেন।
অন্যদিকে পুলিশ ও নুরুল আমিন নামক একজন আসামির পক্ষে এর আগে রামু ও টেকনাফ থানায় পৃথক ৪টি মামলা দায়ের করা হয়।