স্মরণসভায় এম এ সালাম
উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সংগঠনের সাবেক সহ-সভাপতি, রাঙ্গুনিয়ার কৃতি সন্তান এম সাদেক চৌধুরীর ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে স্মরণসভা বৃহস্পতিবার বিকেলে সংগঠনের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালামের সভাপতিত্বে দোস্ত বিল্ডিংস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. আতাউর রহমান। জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বেদারুল আলম চৌধুরী বেদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. মঈনুদ্দীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিশতী, এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, দেবাশীষ পালিত, মো. জসিম উদ্দীন শাহ, আলহাজ্ব জাফর আহমেদ, আলাউদ্দীন সাবেরী, নাজিম উদ্দীন তালুকদার, এস এম গোলাম রাব্বানী, মো. সেলিম উদ্দীন, প্রদীপ চক্রবর্তী, ডা. নুরুদ্দীন জাহেদ, আলহাজ্ব ফোরকান উদ্দীন আহমেদ, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি তানভীর হোসেন তপু, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম ও মরহুম নেতার ছোট ভাই আওয়ামী লীগ নেতা ওসমান গণি চৌধুরী প্রমুখ। সভায় এম এ সালাম বলেন, ছাত্র জীবন থেকে শুরু করে আমৃত্যু গণমানুষের জন্য রাজনীতি করেছেন জননেতা সাদেক চৌধুরী। ’৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকা- পরবর্তী দুঃসময়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য সাহসিকতার সাথে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে তার যে ভূমিকা ছিল তা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিত্তশালী না হয়েও সততা ও নিষ্ঠার সাথে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতিকে ধারণ করে তিনি মানুষের হৃদয় জয় করেছিলেন। তিনি ছিলেন সাধারণ জীবন যাপনকারী উচ্চ চিন্তার রাজনীতিবিদ। দু’দুবার রাঙ্গুনিয়া সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দোর্দন্ড প্রতাপশালী কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করে বহুমুখি ষড়যন্ত্রের কারণে স্বল্পভোটের ব্যবধানে হেরেছিলেন। তবুও তিনি রাঙ্গুনিয়ার মাটি ও মানুষের কল্যাণ ও সার্বিক উন্নয়নে আমৃত্যু কাজ করেছিলেন। প্রধান আলোচক শেখ আতাউর রহমান বলেন, দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করাই ছিল তার রাজনীতির ব্রত। তার মত দেশপ্রেমিক, সৎ ও নিবেদিত প্রাণ বিরল রাজনীতিকের মৃত্যুতে দেশ ও সংগঠনের যে ক্ষতি সাধিত হয়েছে তা সহজে পূরণ হবার নয়। তিনি আদর্শিক রাজনৈতিক কর্মীদের প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন অনন্তকাল। বিজ্ঞপ্তি