নিজস্ব প্রতিনিধি, চন্দনাইশ <<
প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প চন্দনাইশ দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের সাঙ্গু নদীর ওপর রেল সেতুর নির্মাণকাজ এগিয়ে চলছে। ১৮টি সেতুর পিলারের কাজ শেষে বসতে শুরু করেছে গার্ডার। এরই মধ্যে ব্রিজের দোহাজারী অংশে বসানো হয়েছে দুটি গার্ডার। আগামী এক মাসের মধ্যেই বাকি গার্ডার বসানোর কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক মো. মফিজুর রহমান।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, সাঙ্গু নদীর ওপর নির্মিতব্য এ সেতুর দৈর্ঘ্য ২৮৭.১৩৫ মিটার। সেতুটিতে বসবে ৭টি স্প্যান ও ৬টি পিলার। এছাড়া দোহাজারী অংশের আরও তিনটি বড় সেতুর এব্যার্টমেন্ট, স্প্যান ও পিয়ার নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এরমধ্যে লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়ার মাঝামাঝি টংকাবতি সেতুর দৈর্ঘ্য ৮৪.২০ মিটার, এখানে ৪টি স্প্যান ও ৩টি পিয়ার, চকরিয়ার মাতামুহুরী সেতুর দৈর্ঘ্য ৪৯২.৬ মিটার, এখানে ১২টি স্প্যান ও ১১টি পিয়ার এবং মাতামুহুরী শাখানদীর ওপর মাতারবাড়ী সেতুর দৈর্ঘ্য ২৪৬.৩০ মিটার, এখানে ৬টি স্প্যান ও ৫টি পিয়ারের কাজ শেষ হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে কাজে ব্যাঘাত না ঘটলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের চন্দনাইশ দোহাজারী থেকে রামু ১০১ কিলোমিটার এবং রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত ২৯ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয় ২০১০ সালে। এর প্রায় আট বছর পর ২০১৮ সালে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ১ হাজার ৩৯১ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়। প্রকল্পের অধীনে কক্সবাজারে আইকনিক স্টেশনসহ ৯টি স্টেশনের অবকাঠামো নির্মাণসহ ৩৯টি ব্রিজ, ১৪৫টি কালভার্ট, বিভিন্ন শ্রেণীর ৯৬টি লেভেল ক্রসিং নির্মাণ কাজও ইতোমধ্যে অনেকদূর এগিয়ে গেছে। পুরো প্রকল্পটিকে দুটি লটে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমটি দোহাজারী থেকে কক্সবাজারের চকরিয়া পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার এবং দ্বিতীয়টি চকরিয়া থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার সদর পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার। এ প্রকল্পের কার্যাদেশ পেয়েছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিআরইসি) ও দেশীয় তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি এবং চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) ও দেশীয় ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। ২০১৮ সালে এ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হয় এবং ইতিমধ্যে অর্ধেকেরও বেশি কাজ শেষ হয়েছে।
এ মুহূর্তের সংবাদ