সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক
তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ১২৮ রান তাড়া করতে নেমে ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। ফলে মাত্র ৭৬ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। অথচ শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স অবশ্য ব্যাটসম্যানদের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলতে নারাজ। তবে রান তাড়া করার ‘বিশেষ পরামর্শ’ দিয়েছেন তিনি। জিম্বাবুয়ে ও অস্ট্রেলিয়া সিরিজের প্রসঙ্গ টেনে প্রিন্স বলেছেন, ‘জিম্বাবুয়েতে আমরা ভালোই লক্ষ্য তাড়া করেছি। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে আফিফ (হোসেন) ও (নুরুল হাসান) সোহান রান তাড়ায় পারদর্শিতা দেখিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ হলো, দলের ব্যাটসম্যানদের কম্বিনেশন। আমাদের দলে এমন খেলোয়াড় আছে যারা স্ট্রাইক রোটেট করতে পারে। আবার এমন ব্যাটসম্যানও আছে যারা বাউন্ডারি হাঁকাতে পারে।’
সব ঠিক থাকার পরও তো রান পাচ্ছেন না সাকিব-মুশফিকরা! এজন্য ব্যাটসম্যানদের উদ্দেশে দক্ষিণ আফ্রিকান কোচের পরামর্শ, ‘শেষ দিকে ওভারপ্রতি ৯-১০ রান প্রয়োজন হলে ওই অনুযায়ী ব্যাট করতে হবে। আমি মনে করি, আমাদের কম্বিনেশন ভালোই আছে, আমাদের সব ধরনের খেলোয়াড় আছে। খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো- প্রতিটি পিচ ভিন্ন এবং পিচের ধরণ বুঝে মানিয়ে নিতে হবে।’
যদিও ব্যাটিং কোচ স্বীকার করে নিয়েছেন, মিরপুরের উইকেট কোনোভাবেই দ্রুত রান তোলার মতো নয়। এখানে ধীরস্থিরভাবে খেলেই সাফল্য পাওয়া সম্ভব বলে প্রিন্সের মত, ‘উইকেট দ্রুত রান তোলার মতো নয়। খুব বেশি বাউন্ডারি এমন উইকেটে হয় না। তাই স্ট্রাইক রোটেট করে রানরেট ৬ রাখতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে প্রয়োজনীয় রানরেট খুব বেশি না দাঁড়ায়।’
তৃতীয় ম্যাচে ৫২ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচের প্রসঙ্গ টেনে ব্যাটিং কোচ বলেছেন, ‘শেষ ম্যাচে আমাদের ওপেনারদের শুরুটা ভালো ছিল। ওপেনার নাঈম (শেখ) ও লিটনের (দাস) ৫ বাউন্ডারিতে আমরা দুই ওভারে ২০ রানে পৌঁছে গিয়েছিলাম। তাতে করে রানরেটেও আমরা এগিয়ে ছিলাম। কিন্তু পরের ৩-৪ ওভারে দ্রুত বেশ কিছু উইকেট হারাই। সবাই আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে মনোযোগী ছিল। আমার মনে হয়, ১২৯ রান খুব বেশি লক্ষ্য নয়। আমরা যদি ধীরস্থিরভাবে খেলতে পারতাম, তাহলে লক্ষ্যে পৌঁছানো যেতো।’