বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন এক ইতিহাস রচনা করলো সাইফ পাওয়ারটেকের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সাইফ লজিস্টিকস অ্যালায়েন্স লিমিটেড। রেল এবং রোডের সংযোগ সমন্বয়ে টার্মিনাল বিনির্মাণের চুক্তি শেষ করার মধ্যদিয়ে দেশের অর্থনীতিকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেল এই প্রতিষ্ঠানটি।
গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে কন্টেইনার কোম্পানি অব বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি শেষ করে সাইফ লজিস্টিকস অ্যালায়েন্স লিমিটেড। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এমপি। অনুষ্ঠানে সাইফ লজিস্টিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল সাইফ, কন্টেইনার কোম্পানির চেয়ারম্যান রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা এবং এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেলাল উদ্দিনসহ দেশ-বিদেশের অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। সাইফ লজিস্টিকসের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটি ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল সাইফ এবং কন্টেইনার কোম্পানির পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেলাল উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে তরফদার রুহুল সাইফ বলেন, ‘এটি দেশের জন্য একটি বড় ইভেন্ট। যখন প্রজেক্ট শেষ হবে তখন এটি মাইলস্টোন হবে। সাইফ লজিস্টিকস অ্যালায়েন্স এতে যুক্ত হতে পেরে গর্ববোধ করছে। এই প্রজেক্টের সঙ্গে আমাদের যুক্ত করায় রেল মন্ত্রণালয়কে অসংখ্য ধন্যবাদ।’
কন্টেইনার কোম্পানি অব বাংলাদেশ-এটি সরকারি একটি প্রতিষ্ঠান। রেল মন্ত্রণালয়ে অধীনস্থ এ প্রতিষ্ঠানটি। সরকারি জমিতে এটি নির্মিত হচ্ছে। সাইফ লজিস্টিকস অ্যালায়েন্স ২০ বছরের জন্য এটি লিজে নিচ্ছে। তারপর এটি রেলের অধীনে চলে আসবে। এই টার্মিনাল থেকে শতকরা ২১.৫ ভাগ লভ্যাংশ পাবে রেল।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রধান অতিথি রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, যাত্রী পরিবহন করে বিশ্বের কোনো দেশই কিন্তু রেল থেকে লাভবান হয় না। পণ্য পরিবহন করার মধ্যদিয়ে লভ্যাংশ পায়। বাংলাদেশের রেলের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক কাজ করে যাচ্ছেন। আপনার সেগুলো দেখতে পাচ্ছেন। আগের চেয়ে রেলের প্রতি মানুষের আস্থা অনেক বেড়েছে। আজকের এই চুক্তি বাংলাদেশের ব্যবসায় ইতিহাসে ভূমিকা রাখবে। এই টার্মিনাল নির্মাণ হলে ব্যবসায়ে গতি পাবে।
অনুষ্ঠানে সাইফ লজিস্টিকসের চেয়ারম্যান তরফদার রুহুল আমিন বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের মতো বড় একটা কোম্পানির সঙ্গে এবং সিসিবিএল যা রেলের একটি প্রতিষ্ঠান সেই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একটি মাল্টি মডাল কন্টেইনারের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি। এই চুক্তির মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের যে লজিস্টিকস ইস্যুগুলো আছে, যে লজিস্টিকস গ্রোথ আছে সেটি বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশে ব্যবসায়ীরা ৫০ বিলিয়ন ডলারের টার্গেট সামনে রেখে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফেকচার কাজ করে যাচ্ছি। ৫০ বিলিয়নের টার্গেট পূরণে এই মাল্টি মডাল টার্মিনাল বিশাল অবদান রাখবে।
কন্টেইনার কোম্পানি অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান রেলপথ সচিব সেলিম রেজা বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায় অনেক বড় ভূমিকা রাখবে এই টার্মিনাল। এটি দেশের অর্থনীতির গতিকে যেমন সচল করবে, তেমনি রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখবে। বিজ্ঞপ্তি
বিজনেস