নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি »
খাগড়াছড়িতে মহালছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী ত্রিপুরাকে মারধর করে আহত করার অভিযোগে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সুভায়ন খীসার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলাটি করা হলেও বুধবার এটি রেকর্ডভুক্ত করা হয়। খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি (তদন্ত) জাহিদ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মঙ্গলবার সকালে খাগড়াছড়ি সদরের মহালছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মূল গেট ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করতে আবেদন নিয়ে যান প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী ত্রিপুরা। এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে গেলে তিনি আবেদনটি নিতে অস্বীকৃতি জানান। একপর্যায়ে মৌসুমী ত্রিপুরাকে মারধর শুরু করেন সুভায়ন খীসা। মারধরে গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মৌসুমী ত্রিপুরা।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি (তদন্ত) জাহিদ হাসান জানান, অভিযোগটি গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মৌসুমী ত্রিপুরা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সুভায়ন খীসাকে গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর দু’জনে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ের কথা দাবি করলেও মামলার এজাহারে তা উল্লেখ করেনি।
এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করেছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন। তিনি জানান, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলামকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির বাকি সদস্য হলেন গুইমারা উপজেলার সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কৃষ্ণলাল দেবনাথ এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুজিত মিত্র চাকমা। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।