সুপ্রভাত ডেস্ক »
চলচ্চিত্রশিল্পের সবার বিশেষ করে প্রদর্শক, পরিচালক,প্রযোজক ও শিল্পী সমিতির আবেদন পেলে বছরে ১০টি ভারতীয় হিন্দি সিনেমা আমদানি ও প্রদর্শনী করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সঙ্গে মত বিনিময়কালে এ তথ্য জানান তিনি।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস এবং নেতাদের মধ্যে ইউনুস রুবেল, শরফুদ্দীন এলাহী, সহিদুর রহমান, তাপস দাশগুপ্ত, ঈশা খান, সম্রাট শাহ ও ফারুক আহমেদ উদয় যোগ দেন। অতিরিক্ত সচিব (চলচ্চিত্র, সোশাল ও নিউ মিডিয়া) ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, যদি চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি, পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতি এবং প্রযোজক সমিতি এই চারটা সমিতি লিখিত আবেদন দেয়, তাহলে আমরা বিষয়টা নিয়ে উদ্যোগ নেবো। সবার লিখিত সম্মতি লাগবে। কারণ অতীতে দেখা গেছে বেশিরভাগ সমিতি চাচ্ছে কিন্তু শিল্পী সমিতি চায় না।
ড. হাছান বলেন, যে চলচ্চিত্র শিল্পের যাত্রা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে শুরু হয়েছিল, সেই চলচ্চিত্রের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তার মধ্যে অন্যতম বড় পদক্ষেপ হচ্ছে এক হাজার কোটি টাকার স্বল্প সুদে ঋণ তহবিল। সেটির জন্য ৫০ এর অধিক দরখাস্ত পড়েছে। আমরা আশা করছি সেগুলো তাড়াতাড়ি নিষ্পত্তি হবে এবং আরও দরখাস্তকারী উৎসাহী আছেন।
মানুষের রুচির পরিবর্তনের কারণে শুধু দেশে নয়, সিনেমার শহর মুম্বাইতেও সিঙ্গেল স্ক্রিন অনেকগুলো সিনেমা হল বন্ধ হয়েছে। কলকাতাতেও তাই। কিন্তু সিনেপ্লেক্স দিন দিন বাড়ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়নযোগ্য ঋণ তহবিল দিয়ে মার্কেটের মধ্যে সিনেপ্লেক্স করলেও হবে। আলাদাভাবে শুধু সিনেপ্লেক্স করার বাধ্যবাধকতা নেই। মেট্রোপলিটন শহরগুলোতে ৫ শতাংশ সুদে, আর মেট্রোপলিটন শহরের বাইরে সাড়ে ৪ শতাংশ সুদে এক বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ দীর্ঘমেয়াদে এই ঋণ পাবেন। যেখানে সাধারণ ঋণের সুদ ৯ শতাংশ।