সুপ্রভাত ডেস্ক »
রমজানের আগের থেকেই উত্তাপ ছড়াচ্ছিল সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার। তবে ১০ রমজানে এসে প্রকৃতির মতোই সবজির বাজারেও কিছুটা স্বস্তির দেখা পেয়েছেন ক্রেতারা। আলু ছাড়া মোটামুটি সকল সবজির দামই কমতির দিকে।
শুক্রবার (২২ মার্চ) রাজধানীর মগবাজারের চারুলতা মার্কেট, মালিবাগ রেলগেটসহ আশেপাশের সবজি বাজার ঘুরে এ চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।
সরজমিনে দেখা যায়, সবজি বাজারগুলোতে প্রতি হালি লেবু বিক্রয় হচ্ছে ৩০ টাকায়। যা রমজানের শুরুতে ৯০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রয় হয়েছে। প্রতি কেজি বেগুন বিক্রয় হচ্ছে ৪০ টাকায়। যা কয়েকদিন আগেও ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এছাড়া প্রতিকেজি শশা ৬০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০ টাকা ও টমেটো ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে কাঁচা মরিচ প্রতিকেজি ১০০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে।
লাউ আকারভেদে ৪০ থেকে ৭০ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া ৩০ পিস বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পেঁপে, মিষ্টি কুমড়াসহ ঝিঙা, করলার মতো সবজিগুলোর দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমতির দিকে। তবে এর ব্যতিক্রম আলু। আলুর দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। বর্তমানে প্রতিকেজি আলু বিক্রয় হচ্ছে ৪০ টাকায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারুলতা মার্কেটের ব্যবসায়ী আল আমিন বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত সবজির সরবরাহ রয়েছে। ফলে দাম কিছুটা নিম্নমুখী। এছাড়া রমজানের শুরুতে মানুষের কেনাকাটার পরিমাণ বেশি ছিল। চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেড়েছিল। এখন চাহিদা কম, পর্যাপ্ত যোগান আছে। তাই দাম কিছুটা কমে গেছে।
মালিবাগ রেলগেট কাঁচাবাজারের বিক্রেতা নওশাদ বলেন, এখন দাম কিছুটা কমেছে। সামনে আরও কমবে। ঈদের আগে আগে সবাই মাংসের দিকে ঝুঁকবে। অনেকে ঢাকা ছেড়ে দেবে। এজন্য রোজার শেষের দিকে সবজির দাম কমে।
স্বস্তি প্রকাশ করে সবজি বাজারের ক্রেতা মাহমুদুল বলেন, সব জিনিসপত্রের দামই বেশি। বাজারে আসলে আমাদের নাভিশ্বাস উঠে যায়। তবে এই সপ্তাহে সবজির বাজারটা একটু কমেছে। প্রতিটি সবজিরই দাম ন্যূনতম ১০ টাকা করে কমেছে। এটা আমাদের জন্য কিছুটা স্বস্তির। তবে এসব জিনিসের দাম আরও কমানো সম্ভব বলে মনে করি। সরকার যদি আরও সোচ্চার হয় তাহলে সবজির মতো সবকিছুই কমে আসবে বলে আমার বিশ্বাস।