এবার আয়কর রিটার্ন না দিলে জরিমানা
এ জেড এম হায়দার :
২০২০-২১ অর্থ বছরের ব্যক্তিশ্রেণি আয়কর রিটার্ন দাখিলের নির্ধারিত সময় শেষ হচ্ছে আগামী ৩০ নভেম্বর। করোনার কারণে এবারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আয়কর মেলা বাতিল করার প্রত্যাশিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন আয়করদাতারা। তবে চট্টগ্রামের চারটি কর অঞ্চলের উদ্যোগে আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকায় আয়কর অফিস চত্বরে গত অক্টোবর থেকে রিটার্ন নেওয়ার ব্যবস্থা করলেও তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। কিন্তু গত ১৫ নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত করদাতাদের উল্লেখযোগ্য ভিড় দেখা যাচ্ছে। আর আয়কর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অপেক্ষাকৃত ছোট জায়গায় তাদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। রিটার্ন দাখিল করার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের সংখ্যাই বেশি। করোনাসহ নানা সমস্যার জন্য ব্যক্তিগত করদাতাদের উপস্থিতি কম বলে ধারণা করা হচ্ছে। গতকাল পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্ধারিত সার্কেলের অর্ধেক সংখ্যও রিটার্ন জমা হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সময় চেয়ে সংশ্লিষ্ট সার্কেল কর্মকর্তার কাছে আবেদন করার বিধান রাখা হয়েছে। ২৭ ও ২৮ নভেম্বর সরকারি ছুটি। রিটার্ন জমার সময় আছে আজসহ মাত্র তিন দিন। এ সময় প্রচুর সমাগম হবে-এমনটা মাথার রেখে সংশ্লিষ্ট আয়কর কমিশনারেট সব প্রস্তুতি হাতে নিয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে এবারে ই-টিনধারী সকলের জন্য রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অন্যথায় তাদের জরিমানা গুনতে হবে। ৩০ নভেম্বর চট্টগ্রামের চার কর অঞ্চলের উদ্যোগে সিডিএ আবাসিক এলাকাস্থ কর অঞ্চল চট্টগ্রাম-৪ এর কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত আকারে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। তবে কোনো শোভাযাত্রা হবে না।
শুরু থেকে আয়কর মেলায় উৎসবমুখর পরিবেশে করদাতারা এক জায়গায় সকল ধরনের সুবিধা পেয়ে আসছিলেন। আয়কর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রিটার্নপূরণসহ বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে করদাতাদের উৎসাহিত করেছেন। কিন্তু পর্যাপ্ত জায়গার অভাব ও করোনার কারণে এবার ব্যাংক বুথসহ এ ধরনের সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের ঘোষণা দেয়া হলেও কারিগরি ক্রটির অজুহাতে রাজস্ব বোর্ড পরে তা বাতিল করেছে। শুধু মাত্র এবার ঢাকার কর অঞ্চল-৬ এর করদাতারা এ সুযোগ পাচ্ছেন।