নিজস্ব প্রতিবেদক »
বিদ্যুতের সংকটে সুসময়ের বার্তা নিয়ে আসে শীতকাল। শীতে যেহেতু বিদ্যুতের ব্যবহার কম, তাই ঘাটতি থাকা বিদ্যুৎ শীতে জোগাড় করে গ্রীষ্মকালে তা সমন্বয় করার কথা। কিন্তু সেই পরিকল্পনায় ছাই ঢেলে দিলো দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও ভারত থেকে আনা এইচবিডিসি। ফলে শীতে বিদ্যুতের চাহিদা কম হলেও তা সরবরাহ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (পিডিবি)।
গত তিন দিন ধরে নগরের বিভিন্ন জায়গায় লোডশেডিংয়ের খবর জানতে চাইলে এ তথ্য জানান পিডিবির প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকায় চট্টগ্রামের বেশ কিছু জায়গায় লোডশেডিং হচ্ছে। এরমধ্যে অবশ্য আমাদের মেইনটেনেন্সের কাজও হচ্ছে। তবে রামপাল ও পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুটি মেশিন নষ্ট হওয়ায় এবং ভারত থেকে আনা এইচবিডিসি লাইনের এক জায়গার দুটি সার্কিট ও অন্য জায়গার একটি সার্কিট বন্ধ করে দেওয়ায় বিদ্যুৎ ঠিকভাবে আসছে না। তবে এ সমস্যা বেশিদিন থাকবে না। আশা করছি দুই-তিন দিনের মধ্যে সরবরাহ ঠিক হয়ে যাবে।’
শীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিকমতো না থাকলে গ্রীষ্মকালের জন্য বিদ্যুৎ কিভাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ সমস্যা ঠিক করার জন্য আরও কিছু সাপোর্ট প্রয়োজন। এখন তেল আমদানি কমে গেছে। ফুয়েলের এবিলিটি থাকলে সমস্যা হবে না। তবে এরমধ্যে যদি গ্যাসে মেশিন
চালানোর ব্যবস্থা করা যেতো, তাহলে এ সংকটের সমাধান হতো। কিন্তু এ সংকটের সমাধান তো সহজ নয়। মোটামুটি জটিল। তাই গ্রীষ্মকালে যথাযথ বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকবে কিনা তা এখন বলা সম্ভব নয়। এরমধ্যে অবশ্য আদানি থেকে আমরা বিদ্যুৎ পাবো।’
কবে নাগাদ পাওয়া যাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আগামী ২৬ মার্চ থেকে আদানি বিদ্যুৎ দেওয়ার কথা রয়েছে। এখন বিদ্যুৎ দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে শুরুর দিকে হওয়ায় তা নিয়মিত নয়। আগামী ২৬ মার্চ থেকে নিয়মিত বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। তারা শুরুর দিকে ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিলেও পরবর্তীতে ১ হাজার ৪৯৬ থেকে ১ হাজার ৪৯৮ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। তবে চাহিদা অনুযায়ী এটি কতটুকু পূরণ করবে তা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।’