নিজস্ব প্রতিবেদক »
চট্টগ্রাম চারুকলা ইন্সটিটিউটের চিত্রকলা বিভাগের ২০০৮-২০০৯ সেশনের শিক্ষার্থী মিশুক এহসানের স্মরণে তারই ব্যাচ একলব্য ৪১ এর উদ্যোগে তিনদিন ব্যাপী চলছে শিল্পকর্ম প্রদর্শনী।
গতকাল ৫ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে চারটায় চট্টগ্রাম চারুকলা ইন্সটিটিউটের চিত্রকলা বিভাগের একলব্য ৪১ ব্যাচের উদ্যোগে চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির শিল্পার্চায জয়নুল আবেদীন আর্ট গ্যালারিতে আয়োজিত হয়েছে ৫ থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩দিনব্যাপী শিল্পকর্ম প্রদর্শনী। প্রদর্শনীটি চলবে ৬ ও ৭ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম চারুকলা ইন্সটিটিউটের প্রাক্তন শিক্ষক ও ভাস্কর অলক রায়। উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন মিশুক এহসানের পিতা-মাতাও । এছাড়া উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম চারুকলা ইন্সটিটিউটের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
প্রদর্শনীতে মিশুকের শিল্পকর্ম ছাড়াও প্রদর্শিত হচ্ছে একলব্য ৪১ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থীদের শিল্পর্কম। অংশগ্রহণ করা শিল্পীরা হলেন তন্বী দাশগুপ্তা, আব্দুর রাজ্জাক, মাহবুবুল আলম, এমরান হোসেন,ফাহাদ হাসান কাজমী, জয়তু চাকমা, নিশাত কামাল, মারুফ আদনান, অভি পাল, সুমিত চক্রবর্তী, রিপন বড়–য়া, সাকিন ওয়াহাব, সোমা বড়–য়া, উৎপল দেব ও শামীমা আকতার।
মিশুকের স্মরণে প্রদর্শনীর উদ্বোধনে ভাস্কর অলক রায় বলেন ,‘ এ প্রদর্শনী আসলে প্রদর্শনী না। এটা আসলে বন্ধুদের ভালোবাসার একটা বহিঃপ্রকাশ। মিশুক অত্যন্ত সম্ভাবনাময় শিল্পী ছিলো। প্রথম বর্ষ থেকেই সে আমাদের হৃদয় কেড়েছিলো। মারাত্মক একটা রোগের সাথে লড়াই করেও সে এতো হাসিখুশি ও প্রাণবন্ত ছিলো যা বিস্ময়কর।’
২০২২ সালের ১৩ আগস্ট থ্যালেসামিয়াতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান চট্টগ্রাম চারুকলা ইন্সটিটিউটের চিত্রকলা বিভাগের ২০০৮-২০০৯ সেশনের শিক্ষার্থী মিশুক এহসান। তিনি একাধারে ছিলেন শিল্পী ও স¦ল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি সরকারি মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে র্কমরত ছিলেন। বিস্তার : চট্টগ্রাম আর্ট কমপ্লেক্সের তিনি প্রদর্শনীর গ্রন্থনা ও প্রযোজনায় যুক্ত ছিলেন।
মিশুকের সহপাঠী এমরান হোসেন বলেন, ‘বন্ধুমহলে তিনি ছিলেন ব্যাপক জনপ্রিয়। শাটলে গানে, ঝুপড়িতে বা ক্লাসের ফাঁকে রসাত্মক কৌতুকে সে ছিলো মধ্যমণি। সিনেমার প্রতিও তার বিশেষ আকর্ষণ ছিলো। ‘ডান্স উইথদাউট স্টেপ’ নামে তার একটি শর্ট ফিল্মও ছিলো। এভেঞ্জার নামের হলিউড মুভির যে ৩০ সেকেন্ডের দৃশ্যায়ন বাংলাদেশে হয়েছে সে টিমেও মিশুক ছিলো অন্যতম সদস্য। আমরা তার মতো বন্ধু পেয়ে ধন্য। তার কর্ম ও স্মৃতিকে আমরা এরকম আয়োজনের মাধ্যমে সবসময় স্মরণীয় করে রাখতে চাই।’