চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মান বাড়াতে মেধাবী শিক্ষক নিয়োগ আর প্রশিক্ষণে জোর দেয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
গতকাল সোমবার সকালে সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে চসিক পরিচালিত তিনটি কলেজের পরিচালনা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে মেয়র বলেন, একসময় চসিক পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো চট্টগ্রামের শিক্ষাখাতে নেতৃত্ব দিলেও পরবর্তীতে উন্নতির সে ধারা ধরে রাখা যায়নি। এ অবস্থার পরিবর্তনে চসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দক্ষ জনবল বৃদ্ধির জন্য ৩৭ জন প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছি যাতে তাদের নেতৃত্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ঘুরে দাঁড়াতে পারে। পাশাপাশি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা বৃদ্ধিতেও কাজ চলছে।
মেয়র বলেন, সরকার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় আধুনিক যুগোপযোগী পরিবর্তন আনার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই পরিবর্তন বাস্তবায়নে শিক্ষকরা হচ্ছেন নিয়ামক শক্তি। কারণ শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা, নিষ্ঠা ও প্রচেষ্টার উপর নির্ভর করে শিক্ষার গুণগত মান।
তিনি পরিচালনা কমিটির সকলকে সততা, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মানোন্নয়ন ও খ্যাতি বৃদ্ধির জন্য নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানান।
চসিক প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহারের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন- শিক্ষা কর্মকর্তা উজালা রাণী চাকমা, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অভিভাবক প্রতিনিধি ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর রুমকি সেন গুপ্ত, কাপাসগোলা সিটি করপোরেশন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ শেখ মোহাম্মদ ওমর ফারুক, শিক্ষক প্রতিনিধি অধ্যাপক দেবপ্রিয় চক্রবর্তী, কোহিনুর ইব্রাহিম, চসিক কায়সার-নিলুফার কলেজের অধ্যক্ষ নুর বানু চৌধুরী, মোহাম্মদ ইউনুছ, এস এম শহীদুল ইসলাম, অপরাজিতা বড়ুয়া, সমীরণ কুমার শীল, ফতেয়াবাদ সি.ক. কলেজের অধ্যক্ষ মঈনুদ্দিন হাছান তিবরিজি, জিয়া আমানত মোর্শেদ নয়ন, মো. মুছা চৌধুরী প্রমুখ ।
মেয়র আরো বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের দলাদলির কারণে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়, এতে শিক্ষার্থীগণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই শিক্ষকরা দলাদলি বা শৃংখলা পরিপন্থী কোনো কাজ করলে তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক তৎক্ষণাৎ বদলিসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেন। বিজ্ঞপ্তি