সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক
লাহোরের উইকেটে রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছিলো বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজ এবং নাজমুল হোসেন শান্ত’র জোড়া সেঞ্চুরিতে ৩৩৪ রানের বিশাল স্কোর গড়ে আফগানদের হারিয়েছিলো ৮৯ রানের বড় ব্যবধানে। লাহোরের সেই গাদ্দাফি স্টেডিয়ামেই সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে বাংলাদেশ দল। ভারত এবং নেপালের বিরুদ্ধে যেন বল হাতে আগুন ঝরিয়েছেন পাকিস্তানের শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ কিংবা হারিস রউফরা। সেই তিন পেসারের বিরুদ্ধেই গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে খেলতে নামতে হবে বাংলাদেশ দলকে। কিন্তু আফগানদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের হয়ে ম্যাচ সেরা মেহেদী হাসান মিরাজ শাহিদ শাহ আফ্রিদিদের ভয় পেতে নারাজ। বরং, তাদের মোকাবেলা করতে প্রস্তুত বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। রোববার আফগানিস্তানকে হারানোর পর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, পাকিস্তানের পেস আক্রমণ সামলাতে তিনি প্রস্তুত কি না? মিরাজ হাসতে হাসতে উত্তর দিয়েছেন, ‘আমি যেকোনো বোলারের মুখোমুখি হতে সব সময়ই প্রস্তুত।’
আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ইনিংস ওপেন করতে নামেন মিরাজ। নেমেই করলেন বাজিমাত। ১১৯ বলে ১১২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে হলেন ম্যাচসেরা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও ইনিংস ওপেন করার সম্ভাবনা রয়েছে মিরাজের। তেমনটি হলে, শাহিন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ এবং নাসিম শাহর মতো পেস তারকাদের সামলাতে হবে। এমনিতে মিরাজ নিয়মিত ব্যাট করেন আট নম্বরে। কখনো কখনো সাতেও করেন। কিন্তু আফগানদের বিরুদ্ধে ইনিংস ওপেন করতে নেমে অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন তিনি। ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও ওপেন করবেন হয়তো। এটা ভেবে নিয়েই এক সংবাদকর্মী মিরাজের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কোনো চাপ অনুভব করছেন কি না? নতুন বলে উইকেট নেওয়া মোটামুটি অভ্যাসে পরিণত করেছেন শাহিন আফ্রিদি। ভারতের বিরুদ্ধে সর্বশেষ ম্যাচেও নতুন বলে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলিকে তুলে নিয়েছেন। কিন্তু মিরাজ এই প্রশ্নের উত্তরেও হেসেছেন। বলেছেন, ‘আমি কোনো বোলারকে (মুখোমুখি হওয়া) নিয়ে দুশ্চিন্তা করি না। আমি মিডল অর্ডারে ভালো খেলতে চাই। হ্যাঁ, পরের ম্যাচটা আমার জন্য দারুণ সুযোগ। টপ অর্ডারেও খেলতে পারব। টিম ম্যানেজমেন্ট সে সুযোগ দিলে ভালোই হবে।’ শ্রীলঙ্কা সুপার ফোরে উঠবে- অনেকটা এমন ধরে নিয়েই মিরাজের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের ‘নাগিন ড্যান্স’-এর প্রতিযোগিতা হবে কি না? মিরাজ প্রশ্নটা শুনেই হেসে ফেলেন।
এরপর বলেছেন, ‘সব সময়। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে সব সময়ই এটা নিয়ে প্রতিযোগিতা হয়। এটা নিদাহাস ট্রফিতে শুরু হয়েছিল।’ খবর জাগোনিউজ’র