নিজস্ব প্রতিবেদক :
মাইলেজ সংক্রান্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছে রেলওয়ে স্টাফ, শ্রমিক- কর্মচারীরা। দাবি আদায় না হলে ট্রেন চলাচল বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতি। বিক্ষোভকারীরা বলেন, ১৫৯ বছর ধরে চলে আসা বেতনের অংশ মাইলেজ কেটে রাখার চিন্তা করছেন কিছু স্বার্থান্বেষী মহল। মাইলেজ বাতিলের অফিস অর্ডারও বের করেছে। এদিকে রেলমন্ত্রী ও ডিজি বরাবর সকল কাগজপত্র দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে সন্তোষমূলক কোন সুরাহা মিলেনি। ইতিমধ্যে
পাকশী ও লালমনিরহাটে রানিং স্টাফদের ন্যায্য মাইলেজ পরিশোধ করা হয়নি। এছাড়া আগামী ১৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে রানিং স্টাফদের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিভাগে বেতন-বোনাস পরিশোধের কথা রয়েছে। ন্যায্য পাওনার মাইলেজ না পেলে সেদিন থেকেই কর্মবিরতিতে যাওয়া হবে।
এসময় আন্দোলনকারীরা দাবি করেন, মাইলেজ নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন বাতিল করতে হবে, অবিলম্বে রানিং কর্মচারীদের আইবাস প্লাস প্লাস এ মাইলেজ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসন করতে হবে, মাইলেজ কোড বাতিল করে পার্ট অফ পে হিসেবে পূর্বের ন্যায় বেতন কোড হতে মাইলেজ প্রদান করতে হবে।
টিটিই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসলামুল হক তুষার সুপ্রভাতকে বলেন, আমাদের ডিউটিতে কোন গফেলতি নেই। কিন্তু কেন আমাদের বেতনের অংশ মাইলেজ কেটে রাখা হচ্ছে? ২০১৯ সালে হঠাৎ রানিং স্টাফদের বেতন বাজেট থেকে মাইলেজ আলাদা করে টি. খাতে সংযুক্ত করে। এতে সৃষ্টি হয় নানা জটিলতা। পরবর্তীতে জটিলতা নিরসনে মাইলেজের জন্য ‘মাইলেজ ভাতা’ নামের আলাদা কোড খোলা হয়। যেখানে আইবাস প্লাস প্লাস সিস্টেমে রানিং কর্মচারীদের অর্জিত মাইলেজ সর্বোচ্চ ৩ হাজার মাইল অথবা ৩০ দিনের বেশি অন্তর্ভুক্ত করা যাচ্ছে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘রেলমন্ত্রী ও সচিব দেশের বাইরে থেকে আসলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন। তবে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য একটি চক্র এ সংকট তৈরি করছে।’