নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি »
পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথম স্থলবন্দর রামগড় দিয়ে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালু হচ্ছে ১৪ নভেম্বর। বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন রামগড় স্থলবন্দর প্রকল্প পরিচালক সারোয়ার আলম।
তিনি জানান, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রামগড় স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন ভবনের কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। ইতোমধ্যে রামগড় স্থলবন্দর দিয়ে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালুর লক্ষে টার্মিনাল শেড, ব্যাংক, কাস্টমস, বিজিবি ও পুলিশের সবধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে, ২০২১ সালের মার্চে রামগড় স্থলবন্দর চালুর লক্ষে ফেনী নদীর উপর নির্মিত ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু-১ এর উদ্বোধন করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথম স্থলবন্দর রামগড় দিয়ে ইমিগ্রেশন চালুর সবধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
সম্ভাবনাময় এ বন্দরে সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করে দ্রুত আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম চালুর দাবি ব্যবসায়ীদের। আর পাহাড়ের প্রথম স্থলবন্দর দিয়ে ইমিগ্রেশন চালু হতে যাওয়ার খবরে আনন্দিত স্থানীয়রা।
রামগড় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক সঞ্জয় বাড়ৈ, যাত্রী পারাপারে প্রস্তুত পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথম স্থলবন্দর রামগড়। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাব্রুমের সাথে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু-১ দিয়ে ইমিগ্রেশন চালু হওয়ার কথা হয়েছে দুই দেশের। ইতোমধ্যে কার্যক্রম পরিচালনায় সবধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ বন্দর কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো।
এদিকে বহুল প্রতীক্ষিত রামগড় স্থলবন্দর দিয়ে ইমিগ্রেশন চালু হতে যাচ্ছে জেনে আনন্দিত পাহাড়ের মানুষ। পাহাড়ে বসবাসরত বহু ভাষাভাষী মানুষের অনেক স্বজন ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন দুই দেশে, আছে সাংস্কৃতিক ভাব বিনিময়ও। ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালু হলে সে বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে বলছেন অনেকে। পাশাপাশি পর্যটন খাতেরও বিকাশ ঘটবে বলে আশা ব্যবসায়ীদের।
খাগড়াছড়ির উন্নয়ন সংগঠক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, ইমিগ্রেশন চালুর পর দ্রুত আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম চালু হলে উপকৃত হবে দুই দেশ। যাত্রীরা যাতে নিরাপদে আর্থিক লেনদেন করতে পারেন সে লক্ষ্যে মানি এক্সচেঞ্জ সুবিধা রাখার দাবি এ ব্যবসায়ী নেতার।
খাগড়াছড়ি চেম্বার অব কমার্স-এর সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী বলেন, রামগড় স্থলবন্দর চালুর লক্ষ্যে সীমান্তকুল ঘেঁষা ফেনী নদীর ওপর ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু ১ চালু হয় ২০২১ সালের মার্চে। এ বন্দর চালু হলে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে কম খরচে দ্রুত সময়ের মধ্যে পণ্য আমদানি রপ্তানি করা যাবে ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে।