নিজস্ব প্রতিনিধি, রাঙ্গুনিয়া »
রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা বনগ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে অগ্নিকাণ্ডে ৩টি বসতবাড়ি পুড়ে ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৮ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিট ও চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আংশকাজনক।
জানা গেছে, উপজেলার চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বৃহত্তম বনগ্রাম এলাকার চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের পাশে রাত সাড়ে ৩টায় রান্নার চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। আগুন মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়লে সূত্রধর, মো. নিজাম উদ্দিন ও শরীফা বেগমের তিনটি বাড়ি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পাশের বিল্ডিংয়ে বসবাসরত আগুনের উত্তাপ এবং লেলিহান শিখা দেখে তাড়াহুড়া করে নামতে গিয়ে ও আগুনে দগ্ধ হয়ে চিৎমরম ইউপি সচিব ইন্দ্রজিৎ তনচংগ্যা, জেনি, শিশু, রোজা, মো. আব্দুল জব্বার, মো. আরমান হোসেন ও আরমানের মাসহ ৮ জন গুরুতর আহত হন। প্রায় দেড়ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
চন্দ্রঘোনা বনগ্রাম আদর্শ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ পারভেস বলেন, আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতাল ও ঢাকা বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেন ইমু বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আজগরের নেতৃত্বে অগ্নিকা-ে এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রঘোনা ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ হারুন মেম্বার, ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেন ইমু, সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্যা মনিরা চৌধুরী শিমু, সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা মো. জাফর প্রমুখ।