সুপ্রভাত ডেস্ক »
রাঙ্গুনিয়ায় উপজেলার স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মঞ্জুরুল ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামি খান মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন প্রকাশ মঈনুকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭। মঞ্জুরুল ইসলাম স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন।
গ্রেফতার খান মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন প্রকাশ মঈনু (৪৫), একই থানার মুরাদনগর এলাকার মৃত নুর মোহাম্মদ খানের ছেলে। র্যাব জানিয়েছে, মঞ্জুরুল ইসলাম একজন বালু ব্যবসায়ী। খবর বাংলানিউজের।
আসামিদের সঙ্গে ভিকটিমের বালুমহাল নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। বিরোধের জেরে আসামিরা ইতোপূর্বে একাধিকবার ভিকটিমকে মারধর করাসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। গত ৮ অক্টোবর বিকেলে মঞ্জুরুল ইসলাম তার শান্তিনিকেতন বালুরমহালে অবস্থানকালে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে উক্ত বালুমহালে আসে। অস্ত্রসজ্জিত আসামিদের দেখে ভিকটিম প্রাণভয়ে দৌড়ে পালানোর সময় আসামিরা ভিকটিমকে ধাওয়া করে বালুর মাঠেই কোপাতে থাকে। একপর্যায়ে আসামিদের সঙ্গে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে ভিকটিম মঞ্জুরুল ইসলামের পায়ের ওপরের অংশে ও নিম্নাংশে একাধিক গুলি করে গুরুতর জখম করে। ভিকটিমের সঙ্গে থাকা মো. সেকান্দরকেও মারধর করে জখম করে। এসময় তাদের আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মঞ্জুুরুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহত ভিকটিমের স্ত্রী বাদি হয়ে রাঙ্গুনিয়া থানায় ৪ জনকে আসামি করে একটি হত্যামামলা দায়ের করেন।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো. নূরুল আবছার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্যপ্রযুুক্তির সহায়তায় সোমবার সকাল সাড়ে সাতটায় মঞ্জুরুল ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামি খান মোহাম্মদ মঈন উদ্দিনকে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। মঈন উদ্দিন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে গ্রেফতার এড়াতে আবাসিক হোটেলে আত্মগোপন করেছিল। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে তাকে।