নিজস্ব প্রতিবেদক »
বর্ণাঢ্য আয়োজনে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় চট্টগ্রামে পালিত হয়েছে শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব। নগরীর তুলসীধাম, ডিসি হিল ও ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরে এ উপলক্ষে ছিল দিনব্যাপী নানান আয়োজন।
গত দুই বছর করোনাকালে এই আয়োজন বন্ধ থাকায় এই বছর বেশ ধুমধাম করেই পালিত হয়েছে এই উৎসব। উৎসবকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। উৎসবকে কেন্দ্র করে গতকাল ২০ জুন সকাল থেকে তুলসীধাম, নন্দনকানন ও ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরে ছিল বিভিন্ন ধর্মীয় কর্মসূচি।
দুপুর ৩টার দিকে কেন্দ্রীয় রথযাত্রা উৎসব উদযাপন কমিটির উদ্যোগে নগরের নন্দনকানন রথের পুকুর পাড় থেকে শুরু হয় রথযাত্রা উৎসব। এতে বিভিন্ন সংগঠনের ভক্তরা ব্যানার, প্লেকার্ড, ফেস্টুন, পৌরাণিক সাজ ও বাদ্যযন্ত্র নিয়ে অংশ নেয়। এ সময় ঢল নামে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষের। রথের শোভাযাত্রায় অংশ নেয় হাতি এবং ঘোড়াও। রথের মধ্যে দড়ি বেঁধে ভক্তরা সেই রথকে টেনে নির্দিষ্ট স্থান পরিভ্রমণ করেন। প্রত্যেক রথের আয়োজন একটি অন্যটির চেয়ে আলাদা। গতকালের উৎসবে অংশ নেয়া রথগুলো হলো তুলসীধামের রথ, মনোহরখালীর রথ, টেকপাড়ার রথ, সদরঘাট মাইজপাড়ার রথ, শাহাজীপাড়ার রথ, পার্বতী ফকির পাড়ার রথ, কেদাররাথ তিওয়ারী কলোনির রথ, টাইগারপাস জগন্নাথ সংঘের রথ, পাথরঘাটা গিরিধারী মন্দিরের রথ, সুপ্রভাত বয়েজ ক্লাবের রথ, গঙ্গাবাড়ির রথ, হাজারী লেইন শ্রীকৃষ্ণায়নের রথ এবং ইপিজেড শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের রথ।
বিকেল ৪টায় বের হওয়া মহাশোভাযাত্রাটি নগরীর নন্দনকানন রাধামাধব মন্দির ডিসি হিল প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে চেরাগী পাহাড়-আন্দরকিল্লা-লালদীঘির পাড়-কোতোয়ালী-নিউমার্কেট-বোস ব্রাদার্স মোড় হয়ে নন্দনকানন গৌর নিতাই আশ্রম এসে শেষ হয়।
অপরদিকে ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের উদ্যোগে রথযাত্রা উপলক্ষে দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ আয়োজনের মধ্যে ছিলো সকাল ১০টায় বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনায় যজ্ঞানুষ্ঠান, দুপুর ১টায় জগন্নাথ লীলা বিষয়ক প্রবচন, দুপুর দেড়টায় মহাপ্রসাদ বিতরণ, দুপুর ২টায় ভাগবতীয় আলোচনা সভা, দুপুর ৩টায় শ্রী বিগ্রহের রথারোহন ও মহাশোভাযাত্রা।
পরে ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের নেতৃত্বে গোলপাহাড় মোড় থেকে রথ পরিক্রমা শুরু হয়ে চট্টেশ্বরী মোড়-কাজীর দেউড়ি-জামালখান-চেরাগী পাহাড়-আন্দরকিল্লা-বক্সিরবিট-লালদীঘির পাড়-কোতোয়ালী-নিউমার্কেট-রাইফেল ক্লাব-কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার-সিনেমা প্যালেস-হাজারী গলি এসে শোভাযাত্রা শেষ হয়।