সুপ্রভাত ডেস্ক :
সর্ষের তেল- নামটা শুনলেই বুক দুরুদুরু! এই বুঝি কোলেস্টেরল বাড়ল বা হানা দিল হার্টের সমস্যা! কিংবা চর্বি বাসা বাঁধল…! এইসব ভুল, ভ্রান্ত ধারনা দূর করুন। সর্ষের তেলে কোনও স্বাস্থ্য-ঝুঁকি নেই! বরং অন্যান্য অনেক কেতাদার তেলের থেকে নিরাপদ। এটি বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত। স্বাস্থের অবনতি দূরে থাক, সর্ষের তেল খেলে আখেরে স্বাস্থের উন্নতীই হয়! কীভাবে ? জেনে নিন-
সর্ষের তেলে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল গুণ। ফলে, শরীরে ব্যাকটিরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। বিশেষ করে, কোলন, ডাইজেস্টিভ সিস্টেম এবং ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন থেকে দূরে রাখে।
শরীরে ফাঙ্গাল ইনফেকশন, বিশেষ করে বর্ষাকালে, খুব সাধারণ সমস্যা। নিয়মিত সর্ষের তেল ব্যবহার করলে ফাঙ্গাল ইনফেকশন প্রতিরোধ করা সম্ভব।
সর্ষের তেলে থাকে বিটা ক্যারোটিন, ক্যালশিয়ম, ভিটামিন এ এবং ই, আলফা ওমেগা থ্রি এবং আলফা ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। যে- কোনও ব্যক্তির সুস্থ থাকার জন্য এই উপাদানগুলি জরুরি। কাজেই রান্নার মাধ্যমে এই তেল শরীরে ঢুকলে লাভই হয়!
সর্ষের তেলে দুটি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে- ওলিক অ্যাসিড, লিনোলিক অ্যাসিড। এই দুটি ফ্যাটি অ্যাসিড একত্রে থাকায় হেয়ার ভাইটালাইজার হিসাবে কাজ করে।
বর্তমানে করোনারি হার্ট ডিজিজ বা সিএইচডি হল মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। হার্টের এই অসুখের জন্য দায়ী কোলেস্টেরল। নিয়মিত সর্ষের তেল খাওয়ার সবচেয়ে বড় উপকারের দিক হল, এতে ওমেগা থ্রি এবং ওমেগা সিক্স ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এর ভারসাম্য বজায় না থাকলে হার্ট অ্যাটাক থেকে শুরু করে ক্যানসার, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স, ডিপ্রেশন, প্রিম্যাচিয়োর এজিং, ডায়াবিটিস, হাঁপানি ও অ্যালজাইমারের মতো অসুখ দেখা দিতে পারে!
খবর : নিউজ১৮’র।
ফিচার দেউড়ি