সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
শিরোপা জয়ের জন্য জয় কিংবা ড্র- যে কোনো একটি হলেই চলবে। এমন লক্ষ্য নিয়ে শনিবার রাতে স্ট্রসবার্গের মাঠে নেমেছিল মেসি-এমবাপের দল পিএসজি। এই ম্যাচে অবশেষে গোল পেলেন লিওনেল মেসি। তার গোলের পরও ড্র করতে বাধ্য হলো প্যারিসের দলটি। তবে, ১-১ গোলে ম্যাচ ড্র করার পরও ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের রেকর্ড ১১তম শিরোপা নিশ্চিত হয়ে গেলো পিএসজির। খবর জাগোনিউজ’র
স্ট্রসবার্গের সঙ্গে ড্র করার ফলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা লেন্সের সঙ্গে ৪ পয়েন্টের ব্যবধান তৈরি হলো। যদিও ব্যবধান ছিল ৬ পয়েন্টের। পিএসজি ড্র করায় ২ পয়েন্ট হারায়। অন্যদিকে লেন্স ৩-০ গোলে আজাচ্চিওকে হারালেও কোনো লাভ হলো না। লিগে ম্যাচ বাকি আর ১টি। এই এক ম্যাচ দিয়ে তো আর চার পয়েন্টের ব্যবধান ঘোচানো যাবে না! সুতরাং, রেকর্ড ১১তম শিরোপা ঘরে উঠলো প্যারিসের দলটির। ৩৭ ম্যাচ শেষে পিএসজির পয়েন্ট দাঁড়ালো সর্বমোট ৮৫। সমান সংখ্যক ম্যাচে ৮১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে লেন্স। ৩৭ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে স্ট্রসবার্গ রয়েছে ১৫তম স্থানে। ম্যাচের প্রথমার্ধে লড়াই হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি। যে লড়াইয়ে গোলের দেখা পায়নি কেউ। তবে দ্বিতীয়ার্ধে এসে শুরুতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় পিএসজির। বিশ্বকাপের দুই সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি এবং কিলিয়ান এমবাপের যুগলবন্দিতে প্রথম গোলের দেখা পায় তারা। ম্যাচের ৫৯তম মিনিটে এমবাপের ডিফেন্সচেরা পাস রিসিভ করে স্ট্রসবার্গের জালে বল জড়ান মেসি। তবে ম্যাচের ৭৯তম মিনিটে পিএসজির সাবেক স্ট্রাইকার, কেভিন গ্যামেইরো গোল করে সমতায় ফেরান স্ট্রসবার্গকে। এরপর আর কোনো পক্ষই গোলের দেখা পেলো না। যার ফলে ১-১ ড্রতেই শেষ হলো স্ট্রসবার্গ-পিএসজি ম্যাচ। পিএসজির হয়ে করা গোলটি মেসির ৪৯৬তম লিগ গোল। ইউরোপের সেরা ৫ লিগের মধ্যে রোনালদোই সর্বোচ্চ গোলের মালিক ছিলেন। মেসি তার রেকর্ড ভেঙে দিলেন এবার। সে সঙ্গে পিএসজি ভেঙেছে সেন্ট এটিয়েনের ১০ শিরোপা জয়ের রেকর্ড। এতিয়েনে ১৯৮১ সালে ১০ম শিরোপা জিতেছিল। শিরোপা নিশ্চিত হওয়ার পর কোচ ক্রিস্টোফে গ্যালতিয়ের বলেন, ‘সবকিছুই পারফেক্ট নয়। তবে এই শিরোপার দাবিদার শুধুই খেলোয়াড়রা। পিএসজির এই যে ১১তম শিরোপা এলো, তা গত একযুগে খেলোয়াড়দের কঠোর পরিশ্রম এবং চেষ্টা-সাধনার ফল এটা।’
পিএসজি এখনই শিরোপা উদযাপন করছে না। আগামী শনিবার পার্ক ডি প্রিন্সেসে ক্লারমন্তের বিরুদ্ধে ম্যাচের পরই শিরোপা উদযাপন করবে তারা। আবার ওই ম্যাচটি হতে যাচ্ছে পিএসজির হয়ে মেসির শেষ ম্যাচ।