সুপ্রভাত ডেস্ক »
সাবেক পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের জেরে ফৌজদারি মামলায় গ্রেপ্তারের মুখোমুখি হলেও দুঃসময়ে স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পকে পাশেই পাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। পাঁচ সন্তানের মধ্যে বড় মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প এবং বড় ছেলে ডনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়রও দাবি করেছেন, ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে তাদের বাবাকে।
ডেইলি মেইল জানিয়েছে, স্বামীর প্রতি ‘বিরাগভাজন’ হওয়া সত্ত্বেও ট্রাম্পের প্রতি মেলানিয়ার সমর্থন এখনও অটুট বলেই নিশ্চিত করেছে তার ঘনিষ্ঠ একজন।
তিনি বলেন, ‘মিসেস ট্রান্স এখনও অবিচল আছেন। তিনি তার পরিবার এবয় স্বামীর পক্ষেই থাকছেন, যেমনটা আগে ছিলেন। তিনি মনে করেন, গত সাত বছর ধরে ট্রাম্পকে, তার পরিবারকে যেভাবে অপমানিত করার চেষ্টা চলছে, এটা তারই সর্বশেষ উদাহরণ।’ খবর বিডিনিউজের।
ট্রাম্প-ড্যানিয়েলসের সম্পর্কের কথা জানাজানি হলে এর আগে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মেলনিয়া। এবং সে সময় ট্রাম্পের ধারণা ছিল, মেলানিয়াকে তিনি হারাতে বসেছেন।
সাবেক পর্ন তারকা ড্যানিয়েলসের দাবি, ট্রাম্পের সঙ্গে তার যৌন সম্পর্ক ছিল এবং ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ওই বিষয়ে মুখ না খুলতে ট্রাম্প তার আইনজীবী মাইকেল কোহেনের মাধ্যমে তাকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দিয়েছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার ম্যানাহ্টনের গ্র্যান্ড জুরি আদালত ড্যানিয়েলসের সঙ্গে সম্পর্কের ঘটনা ধামাচাপা দিতে গোপনে অর্থ দেওয়ার মামলায় ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করেছে।
ধারণা করা হচ্ছে, আগামী মঙ্গলবার বিচারের মুখোমুখি হওয়া ট্রাম্পের সাথে মেলানিয়া হয়ত আদালত কক্ষে থাকবেন না। তবে এই পরিকল্পনার রদবদলও হতে পারে।
তবে আদালত কক্ষে ট্রাম্পের পাশে মেলানিয়ার উপস্থিতি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
এর আগেও বিপদের সময় মেলানিয়াকে তার স্বামীর পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছিল। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রচারের সময় এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প যখন নারীদের নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন, সে সময় ট্রাম্পকে সমর্থন জানিয়েছিলেন তার তৃতীয় স্ত্রী মেলানিয়া।
এদিকে সম্পর্কের টানাপোড়েন থাকলেও বাবার প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে শুক্রবার বিবৃতি দিয়েছেন ট্রাম্পকন্যা ইভাঙ্কা। ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা ওই বিবৃতিতে ইভাঙ্কা লিখেছেন, ‘আমি বাবাকে ভালোবাসি, আমার দেশকে ভালোবাসি। আজ বাবা এবং দেশ উভয়ের জন্য কষ্ট পাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি রাজনৈতিক অঙ্গনে বাবার প্রতি সমর্থন ও উদ্বেগ প্রকাশকারী কণ্ঠস্বরের প্রশংসাও করি।’
প্রেসিডেন্ট পদে থাকার সময় ট্রাম্প প্রশাসনের উপদেষ্টা ছিলেন ইভাঙ্কা, সে সময় মেয়ের কাজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন ট্রাম্প। তবে হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর বাবা-মেয়ের সম্পর্কের অবনতি দেখা দেয়।
এদিকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগের শোরগোল উঠলে তার বড় ছেলে তার পক্ষে দাঁড়িয়ে যান।
জ্যেষ্ঠ পুত্র ডনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘রাজনৈতিক শত্রুদের বিরুদ্ধে পুরো ফেডারেল সরকরা উন্মাদের মতো অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।’
তার বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগকে তিনি ‘কমিউনিস্ট পর্যায়ের’ বলে মনে করেন। তিনি বলেন, ‘যারা পেছনে লেগেছেন, তারা এক সময়ে লজ্জায় পড়বেন। এটা খুবই স্পষ্ট। ওয়াশিংটনের উন্মত্ত বামপন্থিরা মিথ্যার উপরে দাঁড়িয়ে অভিযোগ করেছেন।’
ট্রাম্পের আরেক ছেলে এরিক ট্রাম্প ডেইলি মেইলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তার বাবাকে নির্মমভাবে আঘাত করা হয়েছে এই অভিযোগের মাধ্যমে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণার বছরে একজন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে টার্গেট করা হচ্ছে। কারণ বাবা রাজনৈতিক অভিজাতদের চ্যালেঞ্জ করার সাহস দেখিয়েছিলেন।’