দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জেং কিউন বলেছেন,বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও নিজস্ব ব্র্যান্ডের বিকাশ ঘটাতে হবে। এ লক্ষ্যে শীঘ্রই অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য কোইকা’র সহযোগিতায় চট্টগ্রামে মেট্রোরেল প্রকল্পে নগরীর উন্নয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে মতবিনিময় ও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হবে। এ সমীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন হতে প্রায় ১৮ মাস সময় প্রয়োজন হবে।
তিনি গতকাল সোমবার টাইগারপাস নগর ভবনে মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জেং কিউন এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আজ সোমবার টাইগারপাসস্থ অস্থায়ী নগর ভবনে তাঁর দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাত করতে এলে মেয়র তাঁদেরকে সাদর অভ্যর্থনা জানান।
সাক্ষাতকালে মেয়র বলেন, স্বাধীনতার পরপরই যেসব দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া তার মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ প্রক্রিয়ায় শুরু থেকেই যুক্ত আছে দক্ষিণ কোরিয়া। বাংলাদেশকে বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবার নেপথ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার বিশেষ অবদান রয়েছে। উন্নয়ন সহযোগী এই দেশটি বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিশেষভাবে চট্টগ্রামে মেট্রোরেল প্রকল্পের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কোইকা’র সহায়তায় প্রকল্পের প্রাথমিক সমীক্ষা কার্যে ৫১ কোটি টাকা অনুদান প্রদানের মাধ্যমে সরকার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সদিচ্ছার কারণে চট্টগ্রাম অচিরেই আধুনিক সুযোগ সুবিধাসম্বলিত নগরীতে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম নগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রভূত উন্নয়ন সাধিত হওয়ায় বিনিয়োগে অপার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে বাংলাদেশকে উন্নীত হওয়ার জন্য দক্ষিণ কোরিয়াকে বিনিয়োগ, তথ্য-প্রযুক্তিগত সহায়তা ও প্রশিক্ষণ আরো বৃদ্ধি করার আহ্বান জানান তিনি ।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বড় রপ্তানিখাত পোশাকশিল্পের প্রারম্ভে অবদান রাখতে পারায় আমরা গর্ব অনুভব করি। বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারী হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়া শীর্ষস্থানে রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেমের আওতায় বাংলাদেশের জনগণের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হচ্ছে। ১৯৯৯ সালে দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশে কেইপিজেড প্রতিষ্ঠার অনুমতি পায় এবং ইয়ংওয়ান’র মত পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান এখানে শিল্পস্থাপনের মাধ্যমে সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালিত করে বহু কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। কেইপিজেড পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন হলে অন্য দেশের বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে আস্থা পাবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, সচিব খালেদ মাহমুদ, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী মনিরুল হুদা, অতিরিক্ত প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, কোরিয়ার ফার্স্ট সেক্রেটারি জেং ইউল লি, প্রফেসর ইলজন চ্যাং, কোইকা’র প্রতিনিধি চ্যাউন কিম, জিং বো চুই, মো জেন কং, চট্টগ্রাম কোরিয়ান অ্যসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান জিনহুক পাইক। বিজ্ঞপ্তি