নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নে এক স্কুল শিক্ষিকাকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি বেদার মিয়াসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১৫ এর সদস্যরা।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, ধর্ষণ ঘটনার মূলহোতা বেদার মিয়া (২৮) পিএমখালী ইউনিয়নের ছনখোলা ইউনুছঘোনা এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে, অন্য দুইজন হলো পিএমখালীর উত্তর তারানিয়াপাড়ার সিকদার বাড়ির দিল মোহাম্মদের ছেলে মোস্তাক মিয়া ও ঝিলংজা ইউনিয়নের খরুলিয়া এলাকার মৃত রশিদ আহমদের ছেলে মো. বেলা উদ্দিন।
জানা গেছে, ১৯ আগস্ট সকাল ৭টার দিকে ঝিলংজায় ভাগ্নির গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণে’র শিকার হন স্কুল শিক্ষিকা। পরে সোমবার রাত ১২টার দিকে এ ঘটনায় মামলা রেকর্ড করে পুলিশ। ওই মামলায় সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের ছনখোলা ইউনুছঘোনা এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে বেদার মিয়া নামে একজনসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।
ধর্ষণের শিকার শিক্ষিকা তার এজাহারে দাবি করেন, ১৮ আগস্ট রাতে কক্সবাজার সদরের পিএমখালী ইউনিয়নের মালি পাড়ায় ভাগ্নি সম্পর্কের একজনের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সেখানে কথা হয় বেদার মিয়ার সাথে। পরদিন ১৯ আগস্ট সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ওই স্বজনের বাড়ি থেকে ইজিবাইকে (টমটম) নিজ বাড়িতে ফেরার পথে ঝিলংজা ইউনিয়নের বাংলাবাজার ব্রিজ নামক এলাকায় পৌঁছালে গতিরোধ করে বেদার ও তার সহযোগীরা। পরে ওই নারী শিক্ষিকাকে টেনে তাদের ইজিবাইকে তুলে নেয়।
এই ঘটনার পর অস্ত্রের ভয়-ভীতি দেখিয়ে ওই ইউনিয়নের চান্দের পাড়ার একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে বেদারসহ তিনজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে বলে এজাহারে দাবি করেন ওই শিক্ষিকা। তখন তিনি চিৎকার ও কান্নাকাটি শুরু করলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।