নিজস্ব প্রতিবেদক >>
১৪ দিন সরকারি বিধি-নিষেধের দ্বিতীয় দিনে নগরীর প্রধান সড়কগুলো ছিল ফাঁকা। বৃষ্টি ও লকডাউনের কারণে অলিগলিতে মানুষের আনাগোনা ছিল না। যানবাহনশূন্য ছিল নগর। পুলিশি বাঁধায় লুকোচুরি খেলা দৃশ্যমান থাকলেও আগের তুলনায় অনেক কমেছে। নগরীর প্রবেশ মুখে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
গতকাল শনিবার সকাল থেকে মাঝারি ও ভারি বর্ষণ হয়েছে। এতে মানুষ ঘর থেকে বের হয়নি। নগরীর অলিগলি ঘুরে দেখা গেছে, সকালে কিছুটা মানুষ ঘর থেকে বের হলেও দুপুর গড়াতেই মানুষের আনাগোনা কমে যায়। থমথমে ছিল পরিবেশ। কোথাও কোন জনমানুষ নেই। বেশিরভাগ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়। গলির মোড়ে মোড়ে কিছু আড্ডারত যুবক দেখা গেলেও তাদের মধ্যে ছিল স্বাস্থ্য সচেতনতা। তারা তুমুল কথার ঝড় তুলেছেন এলাকার মোড়ে। চলছে করোনা ভাইরাস মোকাবেলার আলোচনা।
অন্যদিকে রিকশা ও রাইড শেয়ারিং মোটরবাইক ছিল রাস্তায়। এসকল পরিবহন ছাড়া অন্য কোন উপায়ন্ত ছিল না। তারা গ্রাহকদের নগরীর অলিগলি পেরিয়ে পৌঁছে দিচ্ছে গন্তব্যে। মামলা ও জরিমানার ভয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি দেখা যায়নি নগরীর প্রধান সড়কগুলোতে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট থাকায় পুলিশি বাঁধায় পড়ে কেউ কেউ জরিমানাও গুনেছেন। তবে নিম্ন শ্রেণীর মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি দেখা যায়নি।
অলিগলিতে পুলিশি টহল বাড়ার ফলে অনেকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য হচ্ছেন। কোতোয়ালী থানাধীন ঘাটফরহাদবেগ এলাকায় দেখা গেছে, মোটরসাইকেল নিয়ে পুলিশ টহল দিচ্ছে। যাদের মুখে মাস্ক ছিল না তারা বিভিন্ন ফার্মেসি থেকে মাস্ক কিনে নিচ্ছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান ছাড়া সকল দোকান বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। পুলিশের সামনে সচেতন না হয়ে নিজ প্রয়োজনে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্যবিদরা। মাস্ক পড়ার বিকল্প সুরক্ষা ব্যবস্থা নেই বলেও জানান তারা।
নগরীর প্রবেশমুখে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনী। নগরে প্রবেশ ও ছাড়তে পুলিশের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
আন্দরকিল্লা এলাকায় শান্তানু বিশ^াস নামে এক যুবক বলেন, ‘ঈদের বন্ধ ও লকডাউনে বাড়ি ফেরা মানুষ শহরে ফিরতে পারেনি। এতে শহর ফাঁকা রয়েছে। মূলত বিভিন্ন সড়কে পরে থাকা মানুষের অবস্থা দেখতে বেরিয়েছি।’
রিকশা চালক সালাউদ্দিন বলেন, ‘আয় না করলে কেউ খাবার দিবে না। তাই রিকশা নিয়ে বেরিয়েছি।’