নিজস্ব প্রতিবেদক »
কেউ প্লেকার্ড হাতে। কেউ বন্ধুর সাথে। কেউবা মিছিল সহকারে মিলছে সিআরবির সাত রাস্তার মোড়ে। দুপুর হতেই নানা শ্রেণির পেশার মানুষ সিআরবিতে জড়ো হন। সিআরবি রক্ষায় সভা-সমাবেশ-মিছিল-স্লোগানে মুখরিত পুরো সিআরবি অঙ্গন। লকডাউন তুলে নেওয়ার পর বুধবার থেকে লাগাতার কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছে বিভিন্ন সংগঠন।
দীর্ঘদিনের লকডাউনের কারণে প্রতিবাদ চলছিল সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম, সংবাদ সম্মেলনসহ নানাভাবে। লকডাউন তুলে দেওয়ার পরই আন্দোলনে যুক্ত হয় নগরবাসী। তবে লকডাউনেও ধারাবাহিক অন্দোলন চালিয়ে গেছে সিআরবি রক্ষা মঞ্চ।
সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও নাগরিক সংগঠনগুলোর ধারাবাহিক প্রতিবাদের অংশ হিসেবে বুধবার বিকেলে প্রতিবাদ সমাবেশ করে নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রাম। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে লকডাউনের কারণে বিবৃতি, স্মারকলিপি, সংবাদ সম্মেলন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা প্রতিবাদ ও আন্দোলন করে আসছিল নাগরিক সমাজ। লকডাউন তুলে নেওয়ার পর বুধবার থেকে লাগাতার কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছে ।
‘চট্টগ্রামের প্রকৃতি ও ঐতিহ্যকে ধ্বংস করে সিআরবিতে হাসপাতাল চাই না’ শিরোনামে আন্দোলন চলছে। বিকেলে সিআরবিতে সংগঠনের সাবেক কো চেয়ারম্যান প্রয়াত ড. গাজী সালেহ উদ্দীনের স্মরণসভা করেছেন তারা।
‘সিআরবি বাঁচাও, চট্টগ্রাম বাঁচাও’ স্লোগানে এক সপ্তাহ ধরে নানামুখী কর্মসূচি পালন করে আসছে সিআরবি রক্ষা মঞ্চ। গতকালও সিআরবিতে হাসপাতাল স্থাপনে ইউনাইটেডের সাথে রেলের সম্পাদিত অবৈধ চুক্তি বাতিল করার দাবিতে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করে সিআরবি রক্ষা মঞ্চ। বিক্ষোভ মিছিলের পর বিকাল ৪টায় কাজীর দেউড়ি মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মিছিলটি সিআরবি থেকে শুরু হয়ে শহীদ আবদুর রব কলোনি, গোয়ালপাড়া, এনায়েতবাজার, কাজীর দেউড়ি হয়ে আবার সিআরবিতে এসে শেষ হয়।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের বিরুদ্ধে গণআন্দোলনে ভীত হয়ে রেল কর্তৃপক্ষ, ইউনাইটেড গ্রুপ ও এ প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা বোধবুদ্ধিহীন ও মরিয়া হয়ে উঠেছে। বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের নামে হাসপাতালের নামকরণ প্রস্তাব তারই নমুনা। সমাবেশ থেকে সপ্তাহব্যাপী সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য, পূর্ব রেলের সদর দপ্তর (সিআরবি) এলাকায় সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) ৫০০ শয্যার হাসপাতাল, ১০০ আসনের মেডিক্যাল কলেজ ও ৫০ আসনের নার্সিং ইনস্টিটিউট স্থাপন প্রকল্পের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে চলছে বিক্ষোভ কর্মসূচি।
গত বছরের মার্চে এ প্রকল্পের জন্য বেসরকারি ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে সরকারের চুক্তি হয়। সম্প্রতি এই প্রকল্পের জন্য রেলওয়ে হাসপাতাল কলোনির কোয়ার্টার উচ্ছেদ শুরু হলে বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিবাদ শুরু হয়।