সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
মধ্য দুপুরে অনুশীলন। ব্যাঙ্গালুরুর হিন্দুস্তান লিমিটেড মাঠে সদলবদলে উপস্থিত বাংলাদেশের কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। লেবাননের বিপক্ষে পয়েন্ট হারানোর অতৃপ্তির ছাপ এখনো রয়েছে টিম বাংলাদেশের। তবে গতকাল শুক্রবারের অনুশীলনে আগের ম্যাচ ভুলে সামনে তাকানোই ছিল আসল লক্ষ্য। বাংলাদেশের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া পরবর্তী ম্যাচকেই ফাইনাল হিসেবে দেখছেন, ‘মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচটি আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটিই আমাদের ফাইনাল ম্যাচ। আমাদের এক সহ-সভাপতিও এটা বলেছেন।’ জামালের সঙ্গে একমত দলের অন্যতম সিনিয়র ফুটবলার সোহেল রানা, ‘টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে মালদ্বীপের বিপক্ষে আমাদের পয়েন্ট পেতেই হবে।’
পয়েন্ট পেতে হলে বাংলাদেশকে গোলও করা প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক ম্যাচে গোল করা বাংলাদেশের জন্য যেন একটি কঠিন কাজ। গোলের জন্য ফরোয়ার্ডরা সমালোচনায় থাকলেও অধিনায়ক জামাল তাদের ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন, ‘আসলে সবাইকে গোল করতে হবে শুধু স্ট্রাইকারদের ওপর নির্ভর বা দায় হলে হবে না।’
লেবানন বাংলাদেশের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। এমন দলের বিপক্ষে ৮০ মিনিট ম্যাচে সমতা রেখেছিল বাংলাদেশ। পরে ২-০ গোলে হেরে মাঠ ছেড়েছে। এই হারের জন্য আগের সংস্কৃতির কথাই বললেন জামাল, ‘আমরা শেষ দশ মিনিট মনোযোগ রাখতে পারিনি। যা আমাদের আগেও সমস্যা ছিল।’ লেবাননের বিপক্ষে হারের হতাশা ভুলে অনুশীলনে মনোযোগী বাংলাদেশ।
দুই গোলের পেছনে ডিফেন্ডার তারিক কাজী ও ইসা ফয়সালের ভুলকে দায়ী করছেন ফুটবলসংশ্লিষ্টরা। তবে হারের জন্য কাউকে দায়ী করতে চান না অধিনায়ক, ‘আমরা টিম হিসেবে খেলি, জিতলে সবাই একসঙ্গে জিতি, হারলেও সবাই এক সঙ্গে।’ এই প্রসঙ্গে সোহেল বলেন, ‘আমরা কাউকে দোষারোপ বা দায়ী করছি না। সবাই আগের ম্যাচ ভুলে এখন সামনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি।’
জাতীয় দলের স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা দলের মানসিক পরিবেশ সম্পর্কে বলেন, ‘সবাই ইতিবাচক রয়েছে। আগের ম্যাচের পজিটিভ দিকগুলো স্মরণ করে মালদ্বীপের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।’
বাংলাদেশ ১৬ জুন ব্যাঙ্গালুরু পৌঁছেছে। স্টেডিয়ামে অনুশীলনের সুযোগ পায়নি একবারও। গত বৃহস্পতিবার ম্যাচ খেলে গতকাল আবার স্টেডিয়ামেই অনুশীলন করেছে মালদ্বীপ।