নিজস্ব প্রতিবেদক »
১০ বছরের শিশু মো. আলিফ আজিজিয়া মাদরাসার ছাত্র। ৩০ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টা থেকে নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টার অধিক সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো শিশুটির খোঁজ দিতে পারেনি কেউ। প্রথম দিকে বলা হয়েছে শিশুটি নালায় পড়েছিলো। কিন্তু দিনভর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) এবং ফায়ার সার্ভিস থেকে ময়লা আবর্জনা সরিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। তবে কোনো আলামত না পাওয়ায় শিশুটি নালাতে পড়েনি বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রাম বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মবিলাইজিং অফিসার কফিল উদ্দীন বলেন, ছেলেটি যে নালায় পড়েছে তা কিন্ত কেউ দেখেনি। তবে আমরা মাদ্রাসার নালার আশপাশের সবকিছু চেক করেছি। ডুবুরি টিম গিয়ে নালায় তল্লাশির কাজ চালায় একই সাথে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করেন। এরপর ফায়ার সার্ভিসের টিম আবারও নালায় তল্লাশি চালায়। কিন্ত কোথাও কিছু পাওয়া যায়নি। এখন আপাতত ফায়ার সার্ভিসের কাজ বন্ধ রয়েছে।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) এর প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা আবুল হাসেমকে ফোন দেওয়া হলে তিনি রিসিভ করেন নি।
আলিফের খালা লাকি আক্তার জানান, পুলিশ এবং মাদ্রাসা থেকে বলা হচ্ছে ছেলেটি পালিয়েছে। কিন্ত তার বয়স মাত্র ১০ বছর। সে কিভাবে পালাবে? তার সকল আত্মীয় ফটিকছড়ি এবং কুমিল্লাতে। আত্মীয়ের বাসায় যায়নি। সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে- ছাদে গিয়েছে কিন্ত সেখান থেকে আর ফেরেনি। একটা ১০ বছরের শিশু সেখান থেকে কিভাবে উধাও হবে?
এ প্রসঙ্গে ১৭ নম্বর বাকলিয়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শহীদুল আলম বলেন, ‘সন্দেহ করা হচ্ছে বাচ্চাটি নালায় পড়েছে। তার জন্য চসিক এবং ফায়ার সার্ভিস থেকে উদ্ধার এবং ময়লা পরিষ্কারের কাজ করা হয়। কিন্তু কোথাও কোনো কিছু পাওয়া যায়নি। আমরা ধারণা করছি সে নালায় পড়ে নি।’
বাকলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুর রহিম বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে শিশুটি সন্ধানে নালায় কাজ করা হয়েছে। কিন্ত কিছু পাওয়া যায়নি। আমরা সিসিটিভি ফুটেজে দেখেছি শিশুটি ছাদে গিয়েছে। কিন্তু সেখান থেকে তাকে আর নামতে দেখা যায়নি। ছাদ থেকে নালায় পড়লেও নিচে দুই -আড়াই ফুট ময়লা জমে রয়েছে। ১০ বছরের শিশুটি পড়লে আটকে থাকতো। এছাড়া শব্দ শোনা যেত। কিন্ত কেউ কিছু শুনেননি। তবে শিশুটির খোঁজের কাজ চলমান রয়েছে।
এর আগে , বুধবার( ৩০ আগস্ট) বাকলিয়া থানাধীন ছৈয়দ শাহ সড়কে অবস্থিত আজিজিয়া মাদ্রাসা থেকে শিশুটি নিখোঁজ হয়।