বিভাগীয় কর্মশালা
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (এমবিডিসি) ও লাইন ডাইরেক্টর (টিবিএল অ্যান্ড এএসপি) অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম বলেছেন, টিউবাকুলোসিস (টিবি) বা যক্ষা শুধু ফুসফুসের ব্যাধি নয়, এটি মস্তিস্ক থেকে শুরু করে ত্বক, অন্ত্র, লিভার, কিডনি ও হাড়সহ দেহের যেকোনো অঙ্গপ্রত্যঙ্গে সংক্রমণ হতে পারে। তবে ফুসফুসে যক্ষা সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি হওয়ায় সরকারি সচেতনতামূলক প্রচারণায় সেটাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ফুসফুসে যক্ষার জীবাণু সংক্রমিত হলে টানা কয়েক সপ্তাহ কাশি ও কফের সাথে রক্ত যায়। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাদের এ রোগের ঝুঁকি বেশি। পরিবেশ দূষণ, দরিদ্রতা, মাদকের আসক্তি ও অপুষ্টি যক্ষার হার বাড়ার অন্যতম কারণ। এ রোগের লক্ষণ দেখা দিলে ভয় না করে সঠিক সময়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। তাহলে নির্দিষ্ট সময়ে এ রোগ পুরোপুরি সেরে যাবে।
গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর লয়েল রোডের সিনেমা প্যালেস সংলগ্ন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের সম্মেলন কক্ষে টিবি প্রতিরোধে থেরাপি (টিপিটি) উপলক্ষে আয়োজিত দিনব্যাপী বিভাগীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি এ কর্মশালার আয়োজন করেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। সারাদেশে সরকারি হাসপাতাল ও কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক-কর্মচারী নিয়োগ দেয়ার কারণে সাধারণ জনগণ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে। সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি যক্ষা রোগীদের জন্যও সারাদেশে নির্ধারিত কিছু হাসপাতাল রয়েছে। এসব হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসা-সরঞ্জামের কোনো অভাব নেই বলেই যক্ষা রোগীরা প্রয়োজনীয় সেবা পাচ্ছে। সরকার আগামীতে জনবল আরো বৃদ্ধি করলে সকল সরকারি হাসপাতালে সেবার মান আরো দৃশ্যমান হবে। মাঠ পর্যায়ে জনগণের কাক্সিক্ষত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে সরকার ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভাবমূর্তি আরো উজ্বল হবে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীরের সভাপতিত্বে ও জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির চট্টগ্রাম বিভাগীয় টিবি এক্সপার্ট ডা. বিশাখা ঘোষের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিভাগীয় কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথ (উপ-পরিচালক), বিএমএ’র সভাপতি অধ্যাপক ডা. মুজিবুল হক খান, সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আক্তার চৌধুরী, বিআইটিআইডি’র ল্যাব ইনচার্জ অধ্যাপক ডা. শাকিল আহমদ, বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. শফিকুল ইসলাম।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলার সিভিল সার্জন, ৫টি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, বিভিন্ন বক্ষব্যাধি হাসপাতালের ইনচার্জ, জুনিয়র কনসালট্যান্ট ও মেডিকেল অফিসারগণ কর্মশালায় অংশ নেন। বিজ্ঞপ্তি