মাহবুব রোকন, মহেশখালী :
কক্সবাজারের মহেশখালীতে এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে খুন করা হয়েছে। তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে শাহ মনোয়ার কায়সার রুবেল নামের এ যুবককে খুন করা হয়েছে বলে নিহতের পারিবারিক সূত্রের দাবি। বুধবার সন্ধ্যায় তার উপর হামলা হয়, ২৫ জুন (বৃহস্পতিবার) ভোর ৬ টায় চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশ এক নারীকে গ্রেফতার করেছে।
নিহতের ভাই মনোয়ার কায়সার ছিদ্দিকী সোহেল জানান, বড় মহেশখালী জাগিরাঘোনা এলাকায় তাদের বাড়ির সামনে একটি সড়কের উন্নয়ন কাজের জন্য গত কয়েকদিন আগে সরকারি ভাবে টেন্ডার হয়। সড়কের উন্নয়ন কাজ শুরু হলে এ রাস্তায় নিজেদের জমি পড়েছে বলে মিথ্যা অভিযোগ তুলে স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ সোলতান ও তার লোকজন কাজে বাধা দেয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার লোকজন চেষ্টা করেও বিষয়টির কোনো সুরহা হয়নি। পরে তা স্থানীয় থানায় লিখিত অভিযোগ করা। পুলিশ বার বার নোটিশ দিলেও কাজে বাধাদানকারী লোকজন থানায় উপস্থিত হয়নি। পরে বুধবার বিকেলে মহেশখালী থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মোহাম্মদ সোলতান এর বাড়িতে গিয়ে কাজে বাধা না দেওয়ার জন্য বলে আসে।
পুলিশ চলে আসার পর রুবেলের পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশ আনা হয়েছে বলে সন্দেহ করে তারা নানা ভাবে গালিগালাজ করতে থাকে। সোহেল জানান, সোলতান ও তার লোকজন এলাকায় সন্ত্রাসী ও বেপরোয়া প্রকৃতির লোক। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার ভাই শাহ মনোয়ার কায়সার রুবেল বাড়ির উঠানে থাকা টিউবওয়েলে গোসল করতে যায়। এ সময় তার ভাইয়ের উপর অতর্কিত হামলা হয়। এ সময় রুবেল ঘটনাস্থলেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে মহেশখালী ও পরে কক্সবাজার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অশংকাজনক অবস্থায় রাতেই চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হলে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে চমেক হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
নিহত শাহ মনোয়ার কায়সার রুবেল(৪০) গার্মেন্টস সেক্টরে চাকরিজীবী, তিনি মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর ছিদ্দিকীর বড় সন্তান।
মহেশখাখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর সুপ্রভাতকে জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টদের ধরতে পুলিশের একাধিক ইউনিট অভিযান চালাচ্ছে। পুলিশ ইতোমধ্যে ঘটনার সাথে জড়িত কাজল নামের এক নারীকে গ্রেফতার করেছে।