‘মহাকাশ জ্ঞান অর্জনের একটি বিশাল ক্ষেত্র’

জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে গতকাল রোবটিক্স আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় সাফল্য অর্জনকারী ৭ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। জাপান এরস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি এ সার্টিফিকেট প্রদান করে। এ উপলক্ষে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আনোয়ার হোসেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মহাকাশ জ্ঞান অর্জনের একটি বিশাল ক্ষেত্র। সেটি মাথায় রেখে মহাকাশভিত্তিক ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে হবে। যে ডিসিপ্লিনে পড়াশোনা করুক না কেন, সৃজনশীলতা থাকতে হবে। অনানুষ্ঠানিক বিজ্ঞান শিক্ষাকে ছড়িয়ে দিয়ে দেশব্যাপী বিজ্ঞানমনস্কতা বাড়াতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জিরো রোবটিক্স এ যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের তুলনায় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের সাফল্য ঈর্ষণীয়। ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা গবেষণায় এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির সহ সভাপতি মুনীর হাসান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. খলিলুর রহমান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী। এ উপলক্ষে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ও যুক্তরাষ্ট্রের এমআইটির বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী ড.মিজানুল হক চৌধুরী।

তিনি শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘তাদের এ সাফল্য বাংলাদেশের জন্য বিশাল গর্বের। বিশেষ অতিথি মুনীর হাসান বলেন, ‘মেধা সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে আছে। সে মেধার উন্মেষ ঘটাতে প্রয়োজন সরকারি ও প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা।’

ড. মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘এ সাফল্য প্রমাণ করেছে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা রোবট প্রোগ্রামিং এ সক্ষম।’

অনুষ্ঠান শেষে এনিগমা সিস্টেম এর টিমভুক্ত প্রতিযোগী যথাক্রমে সামি সাদাত, সানজিদা সিদ্দীকা, মোল্লা মো. সাইফ, মো. যোবায়ের, মো. হাসিবুল ইসলাম, মো. রায়হান রহমান, তাহসিনুল হক ধ্রুব, রাজিন বিন ঈশা, সাদ নুর মিম বিদু কে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। বিজ্ঞপ্তি